ফাইল ফটো (Photo Credit: Wikimedia Commons)

সংসারে আর্থিক অনটন। আর সেই কারণে নাবালিকা মেয়ের বিয়ের জন্য আগে থেকে সোনা গয়না বানিয়ে রাখা প্রয়োজন। স্বামীকে দীর্ঘদিন ধরে এই বুঝিয়ে কিডনি বিক্রির জন্য চাপ দিচ্ছিলেন তাঁর স্ত্রী। অবশেষে গত বছরের অক্টোবর মাসে কিডনি বিক্রি করিয়ে সেই টাকা হাতে পেতেই প্রেমিকের সঙ্গে চম্পট দিল ৩৩ বছরের সুপর্ণা বেজ। প্রতারিত হয়ে কার্যত মাথায় হাত স্বামী পিন্টু বেজ-এর। সম্প্রতি এমনই ঘটনা ঘটল হাওড়ার সাঁকরাইলে (Sankrail)। আর এই প্রতারণার অভিযোগ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন ওই যুবক।

স্বামীকে কিডনি বিক্রি জন্য চাপ

জানা যাচ্ছে,দীর্ঘদিন ধরেই এই কিডনি বিক্রির জন্য বছর ৩৯-এর পিন্টুকে চাপ দিচ্ছিলেন সুপর্ণা। এদিকে পিন্টুর পরিবারের অমত থাকলেও অবশেষে অক্টোবর মাসে একটি রোগীর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে দাম রফাও করে ফেলে সে। তারপর সেই মাসেই স্বামীকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে কিডনি বিক্রি করান। প্রথমে তিন লক্ষ টাকা নেয়। অপারেশনের পর রোগীর পরিবারের থেকে আরও দুই লক্ষ টাকা নেয়। তারপর সেই টাকার কিছুটা অংশ দিয়ে গয়না বানান। এরপর গত ২৩ ডিসেম্বর বাজারে যাওয়ার নাম করে লুকিয়ে গয়না ও টাকা নিয়ে চম্পট দেয় সুপর্ণা।

আদালতে প্রতারণার অভিযোগ দায়ের

প্রথমে স্ত্রী নিরুদ্দেশ হয়ে যাওয়ায় থানায় মিসিং ডায়েরি করেন পিন্টু। এমনকী হাইকোর্টে হেবিয়াস কপার্স মামলা দায়ের করেন সে। যদিও সেই সময় আদালতে একটি মুছলেখা দিয়ে  জানান যে তিনি স্বেচ্ছায় বাড়ি ছেড়েছেন এবং তাঁকে কেউ জোড় করেননি। জানা যাচ্ছে, প্রেমিকের সঙ্গে বিবাহিত সম্পর্কের মতোই থাকছেন। এরপর পিন্টু আইনজীবী প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন আদালতে।

চাপে পড়তে পারেন মামলাকারী

যদিও আইনজীবীদের একটা অংশের দাবি, এই মামলায় উল্টে পিন্টু বিরুদ্ধেই যেতে পারে। কারণ কিডনি বিক্রি আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ এবং ওই ব্যক্তি কোনও নাবালক নন যে কেউ জোর করে এত বড় কাজ করাতে পারেন। এবং কেউ চাপ দিয়েছে সেটা প্রমাণিত করাও মুশকিল। তবে বাড়ি থেকে টাকা, গয়না নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগে চাপে পড়তে পারেন সুপর্ণা।