অর্থের বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন তোলা সম্পর্কিত অভিযোগে মহা বিপাকে পড়েছেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra)। সাংসদের বিরুদ্ধে তোলা সেই সমস্ত অভিযোগ এবার কার্যত মেনে নিলেন ব্যবসায়ী দর্শন হীরানন্দানি (Darshan Hiranandani)! বিবৃতি প্রকাশ করে হীরানন্দানি দাবি করেন, ব্যবসায়িক সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার নামে তাঁর কাছ থেকে অর্থ ও উপহার নিয়েছেন মহুয়া। সেই বিবৃতি ছড়িয়ে পরতেই শোরগোল রাজনৈতিক মহলে। যদিও হীরানন্দানি এই বিবৃতির সত্যতা নিয়ে পালটা প্রশ্ন তুলেছেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া। তিনি জানতে চেয়েছেন, হীরানন্দানির যে ‘হলফনামা’ প্রকাশ্যে এসেছে তা কি আদেও তাঁর লেখা? নাকি তা তৈরি হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে! মহুয়ার প্রশ্ন, হীরানন্দানিকে তো সিবিআই, এথিক্স কমিটি বা অন্য কোনও তদন্তকারী সংস্থা কেউনি ডাকেনি। তা হলে এই ‘হলফনামা’ কাদের মদতে প্রকাশ করা হল?
হীরানন্দানি গ্রুপের কাছে থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়ে আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লোকসভায় প্রশ্ন করেছেন মহুয়া, অভিযোগ তুলে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে একটি চিঠি পাঠান বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। এমনকি অবিলম্বে মহুয়ার সংসদ পদ বাতিল করার আর্জিও জানান। সাংসদের বিরুদ্ধে ওঠা সকল অভিযোগ হীরানন্দানির মেনে নেওয়ার বিবৃতি প্রকাশ্যে আসতেই মহুয়ার পালটা প্রশ্ন, হীরানন্দানি যদি সব স্বীকার করে থাকেন তাহলে কেন তিনি সাংবাদিক বৈঠক করে এই ‘হলফনামা’র নিজে পড়ে শোনালেন না বা নিজে টুইট করলেন না? কেন সংবাদমাধ্যমে ফাঁস হতে তাঁর হলফনামাকে।
অর্থের বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন এবং সেই প্রেক্ষিতে এই বিবৃতি দুই অস্বীকার করে তৃণমূল সাংসদের পাল্টা বক্তব্য, হীরানন্দানির মতো এক জন সফল ব্যবসায়ী, কেন এক জন প্রথম বারের বিরোধী সাংসদের দাবি মানতে বাধ্য হবেন? বিজেপির দিকে আঙুল তুলে মহুয়ার পালটা অভিযোগ, এই বিবৃতি বিজেপির আইটি সেলের কোন কর্মী তৈরি করেছে।