রাজ্য প্রশাসনের ওপর ভরসা হারিয়ে সিবিআই (CBI) তদন্তের দাবি জানিয়েছিলেন আরজি কর হাসপাতালে (RG Kar Medical College and Hospital) নিহত জুনিয়র চিকিৎসকের পরিবার। কিন্তু মোহভঙ্গ হল বাবা-মায়ের। ঘটনার তিন মাস বাদেই আদালতে চার্জশিট না দিতে পারায় জামিনে ছাড়া পান আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডল। আর তারপরেই সিবিআইয়ের ওপর একরাশ ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন নির্যাতিতার পরিবার। বৃহস্পতিবার সকালে তাঁরা নতুন করে মামলার আর্জি জানিয়েছেন। বাবা-মায়ের আবেদনের ওপর ভিত্তি করে আগামী ২৪ ডিসেম্বর, অর্থাৎ এই মামলার পরবর্তী শুনানিতে সমস্ত নথিপত্র জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
সূত্রের খবর, এদিন সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের মতো গুরুতর অভিযোগ তুলেছে নির্যাতিতার পরিবার। ফলে এখনই যদি আদালত এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করে তাহলে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাবে বলে মনে করছেন তাঁরা। সেই কারণে এদিন বিচারপতি তীর্খঙ্কর ঘোষের এজলাসে নতুন করে আবেদন করেন নির্যাতিতার পরিবার। আসলে ইতিমধ্যেই এই মামলার ট্রায়াল শুরু হয়েছে। আর কয়েকদিনের মধ্যে সাক্ষ্যগ্রহণও শুরু হবে। পরিবারের আশঙ্কা, যেভাবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এই মামলার তদন্ত করছে তাতে আদৌ আসল অভিযুক্তরা শাস্তি পাবে না।
প্রসঙ্গত, গত ৯ অগাস্ট সকালে আরজি কর হাসপাতালের কর্মরত এক মহিলা জুনিয়র চিকিৎসকের মৃতদেহ সেমিনার হল থেকে উদ্ধার হয়ছিল। প্রাথমিকভাবে স্থানীয় পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এই মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে দাবি করলেও পরবর্তীকালে যখন নির্যাতিতার পরিবার ঘটনাস্থলে আসে তখন তাঁদের ঘটনাস্থলে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। তারপরে জানা যায় ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনা সামনে আসতেই পুলিশ প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে থাকে। রাজ্যজুড়ে চলে প্রতিবাদ। অবশেষে হাইকোর্টের নির্দেশে এই মামলার দায়িত্বভার দেওয়া হয় সিবিআইকে।