West Bengal Weather Update: ফের নিম্নচাপ, সপ্তাহভর ভারী বর্ষণে ভিজতে চলেছে দক্ষিণবঙ্গ
প্রতীকী ছবি (Photo Credit: File Photo)

কলকাতা, ২৪ আগস্ট: আষাঢ় শ্রাবণে চাতক পাখির মতো বর্ষার জন্য হাপিত্যেশ করেছে দক্ষিণবঙ্গের বাসিন্দারা। আর ভাদ্রমাস পড়তে না পড়তেই টানা বর্ষণে (Monsoon Rain) জলমগ্ন দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা। কোথাও কোখাও বন্যার পরিস্থিতিও তৈরি হয়েছে। তবে লকডাউনের বাজরে এমনিতেই আনাজপাতির দাম আকাশছোঁয়া আর অসময়ের বৃষ্টি সেই বিপত্তিরই ইঙ্গিত দিচ্ছে। নিচু এলাকায় চাষের জমি জলের তলায়। সবজি পচে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। এমন কিছু ঘটলে ফের জিনিসপত্রের দাম বাড়বে। তবে এই বৃষ্টিতে আমন ধানের ফলন ভালোই হবে আশা করা যায়। অন্যদিকে আজ অর্থাৎ সোমবার বাংলা লাগোয়া উত্তর বঙ্গোপসাগরে আরও একটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে চলেছে। তার প্রভাবে প্রবল বৃষ্টি হবে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে।

ফের ভারী বর্ষণের মুখে পড়তে চলেছে দক্ষিণবঙ্গ। পরিস্থিতি বিবেচনা করে মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে কমলা সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দপ্তর। সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে মৎস্যজীবীদেরও। নিম্নচাপের প্রভাবে ভারী বর্ষণ হতে পারে ওড়িশায়। ২৪ ঘণ্টায় ২০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে ঝাড়খণ্ডেও। ফলে নিজেদের বৃষ্টি তো বটেই, পাশের রাজ্যের জলও বাংলার বিপদ বাড়িয়ে তুলতে পারে। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী আজ, সোমবার দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, দুই মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। অর্থাৎ, গোটা দিনে ১১০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি। কাল, মঙ্গলবার বৃষ্টির পরিমাণ অনেকটাই বাড়বে। কলকাতা-সহ গোটা দক্ষিণবঙ্গেই ভারী বৃষ্টি হতে পারে। দুই ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় অতি ভারী বর্ষণ অর্থাৎ ২০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে। বুধবার বৃষ্টির দাপট বেশি থাকবে পশ্চিমাঞ্চলে। তবে দক্ষিণবঙ্গ জুড়েই ভারী বৃষ্টি হতে পারে। বৃহস্পতিবারও আবহাওয়ার আহামরি উন্নতি হবে না। কয়েকটি জেলায় সে দিনও ভারী বৃষ্টি হতে পারে। শুক্রবার পর্যন্ত প্রবল বৃষ্টি চলবে ঝাড়খণ্ডে। আরও পড়ুন-Convalescent Plasma Treatment: ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশ, অবশেষে করোনা রুখতে মার্কিন মুলুকে শুরু প্লাজমা থেরাপি

চলতি মরসুমে জুনের শুরু থেকেই বর্ষা সক্রিয় থাকায় বৃষ্টির অভাব হয়নি। গ্রীষ্মের দীর্ঘ সময় জুড়ে লকডাউন থাকায় বর্ষার আগে সেচ ব্যবস্থা পুরোপুরি ঢেলে সাজানো সম্ভব হয়নি। বৃষ্টি নামার পর কাজ হয়েছে বেশি। তার মধ্যে একটানা বৃষ্টিও হয়েছে। ফলে বাংলার বেশিরভাগ নদীই টইটম্বুর। অতিরিক্ত বৃষ্টি বা পড়শি রাজ্যের জল আসার অর্থই হল, নদীর জলে ভেসে যাবে গোটা এলাকা। তাই দক্ষিণবঙ্গের সীমান্ত এলাকায় বন্যার ভ্রূকুটি বাড়ছে।