বেলঘড়িয়া, ৩ ডিসেম্বর: ট্রেনে (Train) কাটা পড়ে মৃত্যু হল দাদু-নাতনির। আজ মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর কলকাতার বেলঘড়িয়ায় (Belgharia)। জোড়া মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা। এমনকী প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে চলে রেল অবরোধ। বিক্ষোভকারীরা ট্রেনে উঠে হামলা চালায় বলেও অভিযোগ। পুলিসের সঙ্গে বেঁধে যায় বচসাও। এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিয়ালদা মেইন শাখায় চরম দুর্ভোগে পড়তে হয় নিত্যযাত্রীদের।
জানা গিয়েছে, দাদু রাজকৃষ্ণ ধরের সঙ্গে বাড়ি ফিরছিল ৮ বছরের জুঁই ধর। এদিন ছিল তার বাংলা পরীক্ষা (Bengali Exam)। বেলঘড়িয়ায় লাইন পার হওয়ার সময় হঠাৎ তাঁদের ধাক্কা মারে শিয়ালদা-রাণাঘাট লোকাল। মুহূর্তেই ছিটকে যায় দু'জনের দেহ। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দুজনেরই। ঘটনায় তীব্র জনরোষ তৈরি হয় স্থানীয়দের মধ্যে। ট্রেন থামিয়ে শুরু হয় তুমুল বিক্ষোভ। এই সময়ের খবর অনুযায়ী, পুলিস দেহ উদ্ধার করতে গেলেও বিক্ষোভ চরমে ওঠে। পুলিসের সঙ্গেও বচসা বেঁধে যায় সাধারণ মানুষের। কারণ স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে বিপদের ঝুঁকি নিয়েই রেললাইন পারাপার করছেন তাঁরা। বহুদিন ধরে ফুট ওভারব্রিজ (Foot Overbridge) তৈরির দাবি জানালেও সরকার থেকে কোনরকম উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। তাই এই ধরণের দুর্ঘটনা ঘটে থাকে প্রায়শই। তাই অবরোধে সামিল হন তাঁরা। প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে চলে রেল অবরোধ। ট্রেন বন্ধ হয়ে যায় শিয়ালদা মেইন শাখায়। তীব্র যানজটে হয়রানির শিকার হন যাত্রীরা। আরও পড়ুন: MP Mimi Chakraborty: সকলের সামনে পেটানোর দাবিকে সমর্থন জানিয়ে ধর্ষকদের দ্রুত উপযুক্ত শাস্তি চাইলেন সাংসদ মিমি চক্রবর্তী
তাই এভাবে অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখানোর বিরুদ্ধে সরব হন বহু নিত্যযাত্রীই। পরে বেলা ১২.৩০টা নাগাদ অবরোধ তুলে নেন বিক্ষোভকারীরা। মৃতদেহগুলি ময়নাতদন্তে (Post Mortem) পাঠায় পুলিস। ফের চালু হয় ট্রেন পরিষেবা।