রাজ্যপাল জগদীপ ধনখর (Photo: Facebook)

ভোট পরবর্তী হিংসা (Post Poll violence) নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে উত্তরবঙ্গে সফর সেরেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। এবার রাজ্যপাল যাচ্ছেন নন্দীগ্রামে। শনিবারই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)-শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) দ্বৈরথের অতি চর্চিত কেন্দ্র নন্দীগ্রামে যাচ্ছেন জগদীপ ধনখড়। বিজেপি (BJP)-র অভিযোগ, নন্দীগ্রামে (Nandigram) ভোটের ফল বের হওয়ার পর থেকে তৃণমূল (TMC) সন্ত্রাস চালাচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হার মেনে নিতে না পেরে তৃণমূল সমর্থকরা বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের গ্রামছাড়া করেছেন বলেও অভিযোগ বিজেপি নেতাদের। রাজ্যপাল জানান, তিনি হিংসা কবলিত নন্দীগ্রাম ঘুরে দেখবেন। আরও পড়ুন: এবার রাজ্যে অক্সিজেন কারখানা চেয়ে মোদীকে চিঠি মমতার

শুক্রবার টুইটের মাধ্যমে রাজ্যপাল জানান, আগামিকাল শনিবার সকাল ৯.১৫ সেনাবাহিনীক (বিএসএফ) হেলিকপ্টারে তিনি নন্দীগ্রামে রওনা দেবেন। সেখানে জানকীনাথ মন্দিরে পুজোও দেবেন। আগামিকালই তিনি কলকাতা ফিরে আসবেন। প্রসঙ্গত, নন্দীগ্রামে একেবারে কাঁটায় কাঁটায় লড়াইয়ের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারান বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী। তারপর থেকে শুভেন্দু বারবার অভিযোগ করছেন, নন্দীগ্রামে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের ওপর সন্ত্রাস চালাচ্ছে রাজ্যের শাসক দল।

নন্দীগ্রাম সহ রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে তৃণমূলের ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন বিজেপি বিধায়করা। বৃহস্পতিবারই উত্তরবঙ্গ সফর শেষ করেন রাজ্যপাল। সেখানে তাঁকে কালো পতাকা দেখতে হয়। ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে অবশ্য বিজেপিকেই কাঠগড়ায় তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মানুষের রায় মেনে নিয়ে বিজেপিকে কাজ করতে বলেন মমতা। হিংসায় ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যের কথাও বলেন মুখ্যমন্ত্রী। পশ্চিমবঙ্গে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে অবশ্য বিজেপি কেন্দ্রীয় স্তরে আক্রমণের সুর চড়াচ্ছে।

আজ, শুক্রবার রাজ্যপাল বলেন, রাজ্যের মানুষ পুলিশ স্টেশনে যেতে ভয় পান। পুলিশ শাসক দলের কর্মীদের ভয়ে থাকে।" শুক্রবার রাজ্যপাল যান অসমের রণপাগলি ও শ্রীরামপুরে 'আক্রান্ত' শিবিরে। রাজ্যে 'ভোট পরবর্তী হিংসা'র জেরে কোচবিহারের বহু মানুষ অসমে পালিয়ে গিয়েছেন বলে দাবি বিজেপি-র। রাজ্যপাল এ প্রসঙ্গে বলেন, " ভোটের ফল ঘোষণার পর পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি ভয়াবহ। আমি বলছি সবাই ফিরে আসুন, আমি নিজের বুকে বুলেট নেবো। আমি পজেটিভ মনোভাব নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলব। তিনি জনতার রায় পেয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর উচিত ঝামেলা-বিবাদ থেকে সরে আসা।"