রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় (Photo Credits: Twitter)

কলকাতা, ১৮ অক্টোবর: বাবুল সুপ্রিয়র  (Babul Supriyo) হেনস্থার মাসখানেক পর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University) ফের গেলেন রাজ্যপাল (Governor) জগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhankar)। এদিন আরও একবার রাজ্যপালের সঙ্গে সংঘাতে জড়াল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আগামী ২৪ ডিসেম্বর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন অনুষ্ঠান। তার আগে নিয়মমাফিক শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সংস্থা কোর্টের বৈঠক ছিল।এবার সমাবর্তনে (Convocation) কাদের ডি’লিট- ডিএসসি দেওয়া হবে আর কাদের নয়। সূত্রের খবর, শঙ্খ ঘোষ, সংঘমিত্রা চৌধুরি, সি ভি রমন এবং সলমন হায়দার-সহ চারজনের নাম প্রস্তাব করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে সলমন হায়দারের ক্ষেত্রে আপত্তি জানান রাজ্যপাল তথা আচার্য। পরে কর্তৃপক্ষ মনোনীত ৪টি নামেই সম্মতি জানান আচার্য জগদীপ ধনকড়।

রাজ্যপালের আগমন উপলক্ষে আজ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে সাদা পোশাকে পুলিশ প্রহরায় ছিল। যদিও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, তারা পুলিশ ডাকেনি। কিন্তু পুলিশ নিজে থেকে কিছু করতে চাইলে করতে পারে। উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা সুরক্ষা পাওয়ার পর এই প্রথম যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এলেন রাজ্যপাল। তার ২ নম্বর গেট দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকে রাজ্যপালের কনভয়। অরবিন্দ ভবনে তাঁকে অভ্যর্থনা জানান উপাচার্য সুরঞ্জন দাস। আরও পড়ুন, নিমতাকাণ্ডে ছাত্রখুনে নয়া মোড়, বান্ধবীর বক্তব্যে অসঙ্গতি

উল্লেখ্য, গতমাসে সাংসদমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র হেনস্থার ঘটনায় রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতর আটকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। পড়ুয়ারা 'গো ব্যাক' স্লোগান তুলছেন বাবুলকে দেখে। বাবুলকে কার্যত আটক করে রাখা হয়েছে। বাবুলের হেনস্থার ঘটনায় রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর আসরে নেমেছেন। মুখ্য সচিবকে ফোন করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকেও তিনি ফোন করেন। মুখ্যসচিবকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার পর, রাজ্যপাল যাদবপুরে এসে পৌঁছোন। পরে বাবুল সুপ্রিয়কে উদ্ধার করে এনে নিজের গাড়িতে বসান,। যদিওে রাজ্যপালের গাড়ি ঘিরে নতুন করে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। রাজ্যপালের গাড়ির সামনে বসে পড়েছেন বিক্ষোভরত পড়ুয়ারা।