কলকাতা, ১৮ অক্টোবর: সুপারি কিলার (Supari Killer) নিয়োগ করে খুন নিমতার (Nimta) ম্যানেজমেন্ট পড়ুয়া দেবাঞ্জন দাসকে (Debanjan Das)। নিমতাকাণ্ডে শুরু হয়েছে প্রাথমিক তদন্ত। তদন্তে গতকাল দেবাঞ্জনের বান্ধবীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। তাঁর বক্তব্যে অসঙ্গতি থাকায় তদন্তকারীদের সন্দেহ, অনেক তথ্যই গোপন করছেন ওই তরুণী।
নবমী রাতে নিমতা সর্দার পাড়ার বাসিন্দা ওই তরুণীকে বাড়ি পৌঁছে দিয়ে ফেরার সময় খুন হন দেবাঞ্জন। সেই সূত্র ধরে বৃহস্পতিবার খুনের মামলা শুরু হওয়ার পর বিকেলেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয় দেবাঞ্জনের বান্ধবীকে। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের থেকে জানা গিয়েছে, দেবাঞ্জনকে খুন করতে ২ জন খুনিকে ভাড়া করা হয়েছিল। নবমীর রাতে বান্ধবীকে বিরাটির বাড়িতে নামিয়ে ফেরার পথেই পরিকল্পনা মাফিক দেবাঞ্জন দাসকে খুন করে ওই ভাড়াটে খুনিরা। ঘটনার সময় তাঁর বান্ধবী ঠিক কোথায় ছিলেন, সেটা জানতে তরুণীর মোবাইল লোকেশন এবং কল ডিটেলস খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা। অভিযুক্ত ও তার দলবলের খোঁজে রাতভর দমদমের বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি চালায় নিমতা থানা ও বারাকপুর কমিশনারেটের গোয়েন্দারা। আরও পড়ুন, অভিনয় শেখানোর নামে বাড়িতে ডেকে ধর্ষণ, নাট্য ব্যক্তিত্বকে ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়ায় হইচই
উল্লেখ্য, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী, নিহত দেবাঞ্জনের দেহে বুলেটের (Bullet) আঘাত পাওয়া গিয়েছে। বুলেটের আঘাতের ফলে মোট দুটি ক্ষতচিহ্নের প্রমাণ মিলেছে ওই যুবকের শরীরে। একটি তাঁর ঘাড়ের বাঁ দিকে । অন্যটি, ডান হাতের কনুইয়ের কাছে। অন্যদিকে, খুনের ঘটনাকে দুর্ঘটনা বলায়, গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে নিমতা থানার আইসি-র বিরুদ্ধে। তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে আইসি-র ভূমিকা।