বর্ধমান, ২৬ ফেব্রুয়ারি: মদের নেশায় ঘরে ঢুকে একটি ছাগলকে (Goat) ধর্ষণ (Rape) করার অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান (Burdwan) জেলার কালনার (Kalna) ঘটনা। আর সেই ঘটনার স্থানীয়দের চোখে পড়ে যেতেই বেধড়ক মারধর করা হয় যুবককে। পরে তুলে দেওয়া হয় পুলিশের হাতে। এই সময়ের খবর অনুযায়ী, ঘটনাটি ঘটেছে কালনার সাহাপুরে। স্থানীয় সূত্রে খবর, ছাগলটির মালিক ভোম্বল মান্ডি ছাগলটিকে বেঁধে মাঠে কাজ করতে গিয়েছিল। সেই সময় নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ঘরে ঢুকে পড়ে অভিযুক্ত কৃষ্ণ হালদার। ছাগলটিকে ধর্ষণ করে সে। সেই ঘটনা চোখে পড়ে যায় স্থানীয় বেশ কয়েকজনের। এরপরই তাঁরা কৃষ্ণকে ঘেরাও করে মারধর শুরু করে। পূর্ব সাহাপুরের কালিতলা এলাকার বাসিন্দা অভিযুক্ত কৃষ্ণ হালদার।
সে দাবি করেছেন, মদ খেয়ে নেশা হয়ে গিয়েছিল তাঁর। তারই ফলে ভুলবশত এমন কাজ করে ফেলেছেন তিনি। যদিও তাতেও স্থানীয়দের ক্ষোভ কমেনি। ব্যাপক মারধর করা হয় তাঁকে। খবর যায় পুলিশে। এরপরই পুলিশই তাঁকে উদ্ধার করে কালনা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে সেখান থেকে তাঁকে কালনা মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: ‘হোলির আগেই রক্তের হোলি’, দিল্লির হিংসা নিয়ে তিন ভাষায় কবিতা লিখলেন মমতা ব্যানার্জি
এর আগে ভারতের হরিয়ানার মেওয়াটে এই ধরণের ঘটনা ঘটেছে। এমন জঘন্য কাজ করা ৮ জন অপরাধীকে শেষমেশ গ্রামবাসীরা ধরতে সক্ষম হয়। মারের মুখে অপরাধের কথা স্বীকার করে তারা। গর্ভবতী ছাগলকে উত্যক্ত করত ওই আটজন। ছাগলের মালিক বহুবার তাদের বারণ করা সত্ত্বেও তারা কথা শোনেনি। দিন দিন সেই ছাগলকে বিরক্ত করার মাত্রা ছাড়াতে থাকে। এরপর ছাগলটিকে আটজন মিলে গণধর্ষণ করে। ঘটনার পরপরই মৃত্যু হয় গর্ভবতী ছাগলটির।