কলকাতা, ১৩ মার্চ: তৃণমূলে কগ্রেসে (TMC) যোগ দিলেন বাজপেয়ী জমানার অর্থমন্ত্রী যশবন্ত সিন্হা (Yashwant Sinha)। আজই সুদীপ বন্দোপাধ্যায়-ডেরেক ও'ব্রায়েন-সুব্রত মুখার্জিদের উপস্থিতিতে যোগদান করেন তিনি। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের পাশাপাশি প্রতিরক্ষামন্ত্রকের দায়িত্বে ছিলেন যশবন্ত। আসন্ন নির্বাচনের আগে বড় মুখ এনে চমক দিল তৃণমূল শিবির।
সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, দেশের গণতন্ত্র ভেঙে পড়ছে। পরিস্থিতি ভয়ানক, কৃষক আন্দোলন নিয়ে তিনি মর্মাহত এই বার্তা জানিয়ে পুনরায় রাজনীতির ময়দানে ফেরার কথা জানালেন প্রাক্তন বিজেপি মন্ত্রী। 'কৃষক আন্দোলন নিয়ে সরকারের কোনও মাথাব্যথা নেই। কেন্দ্রে যে শাসক তারা শুধু নির্বাচনী জয়লাভ করেন। অটল বিহারি বাজপেয়ীর সময়ের বিজেপি এবং বর্তমান সময়ের বিজেপির মধ্যে রয়েছে। অটলজি একটি জোট সরকার চেয়েছিলেন। পুরনো সহযোগীরা বিজেপি ছেড়ে যাচ্ছেন। মমতা ব্যানার্জি আর আমি একই ক্যাবিনেটে কাজ করেছি। আজ সমস্ত শক্তি দিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়তে হবে।'
আরও পড়ুন, ১ অগাস্ট হবে ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি কাম এন্ট্রান্স টেস্ট বা নিট
#Kolkata: Former BJP leader Yashwant Sinha arrives at TMC Bhawan pic.twitter.com/Qhjtzpm10v
— ANI (@ANI) March 13, 2021
যশবন্ত সিনহা প্রাক্তন ভারতীয় প্রশাসক, রাজনীতিবিদ এবং প্রধানমন্ত্রী চন্দ্র শেখরের অধীনে ১৯৯০–১৯৯১ পর্যন্ত এবং প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর অধীনে দল ছাড়ার আগে তিনি ভারতীয় জনতা পার্টির বরিষ্ঠ নেতা ছিলেন। তাঁর পুত্র জয়ন্ত সিনহা একজন পরামর্শদাতা এবং বিনিয়োগকারী, হাজারীবাগ আসনের ২০১৯ সালের নির্বাচনে জয়লাভ করেছিলেন এবং নরেন্দ্র মোদির মন্ত্রিসভায় প্রাক্তন সিভিল অ্যাভিয়েশন প্রতিমন্ত্রীও ছিলেন।
১৯৯৬ সালের জুনে তিনি ভারতীয় জনতা পার্টির জাতীয় মুখপাত্র হন। ১৯৯৯ সালের মার্চ মাসে তিনি অর্থমন্ত্রী নিযুক্ত হন। ২০০২ সালের ১ জুলাই তিনি বিদেশমন্ত্রী হিসাবে নিযুক্ত হন। ২০০৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে তিনি হাজারীবাগ নির্বাচনী এলাকায় পরাজিত হন। তিনি ২০০৫ সালে পুনরায় সংসদে প্রবেশ করেন। ১৩ জুন ২০০৯-এ তিনি বিজেপির সহ-সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেন। ২০১৮ সালে, তিনি "দলের শর্ত" এবং "ভারতে গণতন্ত্র চরম বিপদের মধ্যে রয়েছে" একথা জানিয়ে বিজেপি ছেড়ে দেন।