করোনাভাইরাস (Photo Credits: IANS)

কলকাতা, ১ এপ্রিল:  দেখতে দেখতে সংখ্যা ৩৭, হ্যাঁ করোনার গেরোয়ে বিপদের মধ্যে রয়েছে গোটা রাজ্য। এই মুহূর্তে মৃতের সংখ্যা ৫। মঙ্গলবার সন্ধ্যার পরেই বদলে যায় চিত্রটা। একই সঙ্গে ১০ জন আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে। এদিকে, দেশজুড়ে লকডাউন জারি রয়েছে। সতর্কতা জোরদার করতে পথে নেমেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবু সংক্রমণ ঠেকানো কঠিন হয়ে উঠেছে। স্বাস্থ্যভবন সূত্রে খবর প্রায় ৯ জন এমন রোগী পাওয়া গিয়েছে যাঁদের বিদেশ ভ্রমণের কোনও ইতিহাস নেই। তবে কি সার্বিক গোষ্ঠী সংক্রমণের পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে ভারত? বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য দপ্তর। এই পরিস্থিতির মাঝেই নিজামউদ্দিনের ধর্ম সম্মেলনের ঘটনা বাড়তি আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে গোটা দেশেই।

স্বাস্থ্যভবন সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে রাজ্যে মোট ২৯ জন করোনা আক্রান্তের চিকিৎসা চলছে। সাতজন ভেন্টিলেশন আছেন। বাড়ি ফিরেছেন তিনজন। আর নতুন ১০ আক্রান্তের তালিকায় রয়েছেন আলিপুরের চিকিৎসকের ছেলে, মেয়ে এবং স্ত্রী।  এই তিনজনের শরীরে মিলেছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। এছাড়াও শ্রীরামপুরের এক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ২ ব্যক্তির শরীরে মিলেছে নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। এগরার এক বাসিন্দার শরীরে ওই সংক্রমণ মিলেছে। আরজিকর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক ব্যক্তির শরীরে মিলেছে সংক্রমণ। পাশাপাশি দমদম আইএলএস হাসপাতালে ইতালির মিলান ফেরত এক প্রৌঢ়ার শরীরে মিলেছে সংক্রমণ। যার মধ্যে এদিন সন্ধ্যায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে। ৫২ বছরের এক রোগী হাওড়ার গোলাবাড়ি আইএলএস হাসপাতালে মারা যান। অন্যদিকে এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয় ৬২ বছরের এক ব্যক্তির। আরও পড়ুন-Fake News Menace In India: করোনা সম্পর্কিত তথ্য যাচাই না করে ভুয়ো খবর ছড়াবেন না, সংবাদ মাধ্যমকে নির্দেশিকা সুপ্রিম কোর্টের

অন্যদিকে করোনায় আক্রান্তের খোঁজ মিলল উত্তর ২৪ পরগণা বেলঘরিয়ায়। (Belgharia)  আক্রান্ত ব্যক্তির বয়স ৫৭ বছর, পেশায় ব্যবসায়ী। তাঁর অবস্থা সঙ্কটজনক। শ্বাসকষ্ট, ডায়বেটিস, কিডনির সমস্যায় তিনি ভুগছিলেন। জ্বর, শ্বাসকষ্ট নিয়ে ২৩ মার্চ তাঁকে বেলঘরিয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বছর ৫৭-র ওই প্রৌঢ়কে। ২৬ তারিখ থেকে তাঁর অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। ৩০ মার্চ  লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হয় নাইসেডে। রিপোর্টে করোনার জীবাণু মিলেছে।