নতুন দিল্লি, ১ এপ্রিল: করোনাভাইরাস সম্পর্কিত তথ্য (Fake News) যাচাই না করে কোনও সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ করা যাবে না। টিভিতে টেলিকাস্ট হবে না, ওয়েবে আপলোড হবে না। জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। কেন্দ্রের দাবি, কোভিড-১৯ সংক্রান্ত কোনও তথ্য এলে সংবাদ মাধ্যমের সংশ্লিষ্ট ডিপার্টমেন্টে আগে তার সত্যতা যাচাই হোক। তারপর তা প্রকাশ হোক। দ্য লাইভ ল-র রিপোর্টানুসারে কেন্দ্র লকডাউনের পরিস্থিতিতে ভিনরাজ্যের শ্রমিকদের কল্যাণের কথা ভেবে ও মহামারী রুখতে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়। এমতাবস্থায় প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদে ও বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাওয়ের ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলাটি শোনে মঙ্গলবার। ভিডিও কনফারেন্সেই হয় আদালতের কাজ।
স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভাল্লা একটি স্টেটাস রিপোর্ট প্রকাশ্যে এনেছেন। এখন দেশজুড়ে প্রায় জরুরি অবস্থায় সময় চলছে। এক অজানা শত্রুর ভয়ে কাঁটা প্রত্যেকে। এই পরিস্থিতিতে প্রিন্ট, বৈদ্যুতিন, ওয়েব পোর্টাল ও সোশ্যাল মিডিয়ায় একের পর এক ভুয়ো খবর প্রকাশিত হচ্ছে। যা মানুষের মধ্যে তীব্র আতঙ্কের বাতাবরণ তৈরি করেছে। এই সব পরিস্থিতি দেখে দেশকে বাঁচাতে হবে। এই পরিস্থিতিতে ভুয়ো খবর থেকে সরে থাকাই সংবাদ মাধ্যমের কাছে সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ। ভুয়ো খবরের জেরে ভিনরাজ্যের শ্রমিকরা আতঙ্কিত তারা ঘরে ফিরতে চাইছে। তাদের মানসিক পরিস্থিতি ঠিক করতে কেন্দ্রকে এগিয়ে আসতে নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের। একই সঙ্গে এই শ্রমিকদের খাবার, ওষুধ, পানীয়জল, বিছানা ও আশ্রয়ের বন্দোবস্তের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। আরও পড়ুন-Dalai Lama Donates: করোনাভাইরাসকে রুখতে প্রধানমন্ত্রীর প্রশাংসায় পঞ্চমুখ দলাই লামা, পিএম কেয়ার ফান্ডে দিলেন অনুদান
সুপ্রিমকোর্ট আটকা পড়া পরিযায়ী শ্রমিকদের (Migrant Labourers) আবেদনের জবাব দেওয়ার সময় কেন্দ্র বেঞ্চকে জানায় মঙ্গলবার সকাল ১১ টা পর্যন্ত কাউকেই রাস্তায় ফেলে রাখা হয়নি। সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতার এই মন্তব্য একটি আবেদনের জবাবে এসেছিল, যাতে শীর্ষ আদালতকে করোনাভাইরাস লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্ত দৈনিক মজুর ও অভিবাসী শ্রমিকদের খাদ্য ও আশ্রয় দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।