
সুপ্রিম কোর্টের রায়ে রাতারাতি চাকরি হারিয়েছেন ২০১৬ সালের এসএসসিতে চাকরি পাওয়া ২৬ হাজার শিক্ষক। এই নির্দেশ আসার পরেই রাজ্যজুড়ে চাকরিহারাদের বিক্ষোভ চলছে। যদিও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিকবার আশ্বাস দিয়েছিলেন যে তাঁদের চাকরি যাবে না, এর জন্য তাঁরা কোনও না কোনও বিকল্প পথ খুঁজে বের করবেন। এমনকী চাকরিহারারা মাইনে পাবেন বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তবে তাঁদের আর রাজ্য সরকারের প্রতি ভরসা নেই, এমনটাই দাবি করেন চাকরিহারারা। এই নিয়ে চলতি সপ্তাহ থেকেই বিকাশ ভবনে সামনে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষকরা। বৃহস্পতিবার রাতে এই বিক্ষোভ হটাতে গিয়ে লাঠিচার্জ শুরু করে পুলিশ। এই নিয়ে উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি।
চাকরিহারা্দের আন্দোলন নিয়ে সমালোচনা ফিরহাদ হাকিমের
এই প্রসঙ্গে শনিবার রাজ্যের মেয়র তথা পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) বলেন, “নেতাজি ইন্ডোরেই তো মুখ্যমন্ত্রী চাকরিহারাদের উদ্দেশ্যে বার্তা দিয়েছেন। সেই বিশ্বাসটা রাখলেই আর কোনও গোলমাল হত না। এত গোলমাল করার কোনও প্রয়োজন ছিল না। যাঁদের বিশ্বাস রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর ওপর, তাঁরা বাড়ি চলে দিয়েছেন। কিছু মানুষ টিভিতে মুখ দেখাবেন বলে বসে আছেন। ওনারা নাটক করছেন। সুপ্রিম কোর্ট যে রায় দিয়েছে, সেটা তাঁরাই বদলাতে পারবেন। বিকাশ ভবনে আটকে রাখলে কিছুই পরিবর্তন হবে না”।
শিক্ষাক্ষেত্রে এগিয়ে বাংলা, দাবি ফিরহাদের
ফিরহাদ আরও বলেন, “আগে আমাদের এখানে ছেলেমেয়েরা মহারাষ্ট্র, পুনেতে যেত পড়াশুনোর জন্য বাইরে যেতেন। কিন্তু এখনকার দিনে তো সমস্ত সুযোগ সুবিধা এ রাজ্যেই পাওয়া যাচ্ছে। বাংলায় শিক্ষার পরিকাঠামো অনেকটাই উন্নত। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বাংলায় ১৩ বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে। আগামীদিনে আরও হবে। এমনকী বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে কারিগরী শিক্ষাও দেওয়া হচ্ছে”।