যাদবপুর কাণ্ডে অবশেষে এফআইআর দায়ের হল শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর বিরুদ্ধে। সেই সঙ্গে অভিযোগ দায়ের হল অধ্যাপক তথা তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ওমপ্রকাশ মিশ্র ও শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ির চালকের বিরুদ্ধেও। জানা যাচ্ছে, খুনের চেষ্টা, মহিলাদের শ্লীলতাহানির চেষ্টা, খুনের হুমকি সহ একাধিক ধারায় তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া তথা এসএফআইয়ের কর্মী ইন্দ্রানুজ রায়ের অভিযোগের ভিত্তিতেই এফআইআর দায়ের হল যাদবপুর থানায়। যদিও প্রথমদিকে এই বিষয়ে এফআইআর নিচ্ছিল না বলে অভিযোগ করে বামেরা। এই নিয়ে থানার সামনে প্রতিবাদও দেখান তাঁরা।

হাইকোর্টের নির্দেশে এফআইআর দায়ের

পরে হাইকোর্টের নির্দেশে বৃহস্পতিবার অভিযোগ নিল কলকাতা পুলিশ। বুধবার হাইকোর্টে এই মামলা নিয়ে বিচারপতি তীর্থঙ্কর রায় রাজ্যকে প্রশ্ন করেন, কেন কলকাতা পুলিশ এফআইআর নিচ্ছে না। যাদবপুরের ঘটনায় পুলিশের নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। তারপরেই তিনি নির্দেশ দেন পড়ুয়াদের অভিযোগ এফআইআর রূপে নিতে হবে পুলিশকে। হাইকোর্টের এই ভর্ৎসনার পরেই বৃহস্পতিবার ইন্দ্রানুজ রায়ের এফআইআর নেয় যাদবপুর থানার পুলিশ।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা

প্রসঙ্গত, গত ১ মার্চ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ওয়েবকুপারের বার্ষিক অনুষ্ঠান ছিল। যেখানে প্রধান বক্তা হিসেবে এসেছিলেন ব্রাত্য বসু। আর এইদিন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে আবারও নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরু করার দাবি নিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল এসএফআই। এরমধ্যেই প্রতিবাদীরা শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে এই দাবি নিয়ে বৈঠকে বসার আবেদন করেন। যদিও তাতে তিনি রাজি ছিলেন না। আর তারপরেই এই চরম বিশৃঙ্খলা শুরু হয় বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। অভিযোগ শিক্ষামন্ত্রীর গাড়িতে হামলা করেন বিক্ষোভকারীরা। তাঁর গাড়ির কাঁচ ভাঙা হয়, হাওয়া বের করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ব্রাত্যের। আর এই ঘটনার মধ্যেই ব্রাত্যর গাড়ির ধাক্কায় আহত হন ইন্দ্রানুজ রায়।