বাঁকুড়া, ২৭ জুলাই: বাস্তব অনেক সময় গল্প-সিনেমাকেও হার মানায়। তেমনই এক ঘটনা ঘটল বাঁকড়া (Bankura)- র লক্ষ্যতাড়ায়। কলকাতা থেকে বাঁকুড়ায় আনার পথে মরে যাওয়া শিশুকে সেতুর ওপর থেকে গন্ধেশ্বরী নদীতে ফেলে দিল বাবা সহ তার পরিবারের লোক। মৃতদেহ বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চায়নি শিশুর পরিবার। তাই মৃত সন্তানকে নদীতে ছুড়ে ফেলে দিল বাবা। তবে শেষরক্ষা হয়নি।
স্থানীয়দের চেষ্টায় শিশুটিকে উদ্ধারের পাশাপাশি বাবাকে তুলে দেওয়া হল পুলিসের হাতে। অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার সত্যতা জানার চেষ্টা চালাচ্ছে বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশ। সদ্যজাত মৃতদেহটি ময়না তদন্তের জন্য বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছে। আরও পড়ুন-রাজ্যের সরকারী কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা নিয়ে যা রায় দিল আদালত
সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ,শুক্রবার রাত দশটা নাগাদ শিশুটিকে বাঁকুড়ার গন্ধেশ্বরী নদীর ওপরে একটি সেতু থেকে নীচে ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয়। ঘটনাটি দেখে ফেলে বাবা ও অন্য একজনকে ধরে ফেলে স্থানীয়রা। নদীতে তল্লাশিও চালানো হয়। পুলিস ও স্থানীয়দের চেষ্টায় টানা ৫ ঘণ্টা তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করা হয় মৃত শিশুটিকে। ওই ঘটনায় শিশুটির বাবা ও অন্য একজনকে আটক করে জেরা করছে পুলিস।
কীভাবে ঘটল এই ঘটনা
ঘটনার শুরু
কয়েকদিন আগে এক পুত্র সন্তানের জন্ম দেন পশ্চিম মেদিনীপুরের গোয়ালতোড়ের বাসিন্দা নির্মল সত্পতির স্ত্রী। জন্মের পর থেকেই বিভিন্ন ধরনের কঠিন অসুখে ভুগছিল শিশুটি। প্রাথমিকভাবে সদ্যজাতকে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও পরে কলকাতার একাধিক হাসপাতাল-এ চিকিৎসা করানো হয়।
তারপর
শিশুটি পুরোপুরি সুস্থ না হওয়ায় তাকে দক্ষিণ ভারতের ভেলোরের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করে বাঁকুড়া ফিরিয়ে আনছিল নির্মল ও তার পরিবারের লোকজন। কিন্তু কলকাতা থেকে শিশুটিকে বাঁকুড়ায় নিয়ে আসার পথেই শিশুটি মারা যায়। মৃতদেহ বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চায়নি শিশুর পরিবার। তাই মৃত শিশুকে তারা নদীতে ফেলে দেয় বলে জানায় বাবা। যদিও পুলিশ তদন্তের আগে অভিযুক্তদের দাবিকে স্বীকৃতি দিতে রাজি হয়নি। শিশুটি কি নদীতে ছুঁড়ে ফেলার আগেই মারা গিয়েছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।