WB Assembly Elections 2021: কঠোর নিরাপত্তা বলয়ে কীভাবে আক্রান্ত মমতা? পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট চাইল নির্বাচন কমিশন
হাসপাতালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Photo Credits: Abhishek Banerjee Twitter)

কলকাতা, ১১ মার্চ: নন্দীগ্রামে মনোনয়ন জমা দেওয়ার দিন সন্ধ্যায় গুরুতর চোট পেয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। গোটা ঘটনায় তিনি চার পাঁচজনের বিরুদ্ধে তাঁকে ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগ এনেছেন। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা দুই দেহরক্ষী এবং রাজ্য সরকারের এসএসইউ-এর (স্পেশাল সিকিউরিটি ইউনিট) সদস্যদের ভূমিকা নিয়েও। ওই নিরাপত্তারক্ষীরা থাকা সত্ত্বেও কী ভাবে তাঁকে চার-পাঁচ জন যুবক এসে ধাক্কা মেরে ফেলে দিল বা সকলের সামনে গাড়ির দরজার ঘায়ে তাঁর পা জখম করল, তানিয়েই উঠেছে প্রশ্ন। এই অভিযোগ যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিরাপত্তা বলয়কে যে বড়সড় প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিল তাতে কোনও সন্দেহ নেই। এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর উপরে হামলার ঘটনায় জেলা প্রশাসনের রিপোর্ট তলব করল নির্বাচন কমিশন।

মমতা অভিযোগ করেছেন, ঘটনা সময় জেলার পুলিশ সুপার বা কোনও পদস্থ অফিসার তাঁর কাছাকাছি ছিলেন না। বলা বাহুল্য, মনোনয়ন পেশের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারি ভাবে প্রার্থী। তাই আদর্শ আচরণবিধি অনুসারে জেলার পুলিশ সুপার বা তাঁর অধীনস্থ পদস্থ অফিসারদের সেখানে থাকার কথা নয়। থাকলে তাঁরা নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করার দায়ে পড়বেন। কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন তাঁদের বিরুদ্ধে তখন ব্যবস্থা নেবে। ওই বলয়ে থাকার অধিকার রয়েছে শুধুমাত্র মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আরপিএফের দুই নিরাপত্তারক্ষীর। যাঁরা বহু বছর ধরেই মমতার নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করেন। অধিকার রয়েছে এসএসইউয়ের পদস্থ অফিসার এবং প্রধানের। এমনিতে ‘জেড ক্যাটিগরির’ নিরাপত্তা পেয়ে থাকেন মমতা। সেই নিরাপত্তা বলয় ভেদ করে কী করে চার-পাঁচজন তাঁকে ধাক্কা মারল, সে বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছে নির্বাচন কমিশনও। আরও পড়ুন-Mamata Banerjee Hospitalised: শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা, বাঁ পায়ের পাতা ও গোড়ালিতে গুরুতর আঘাত নিয়ে এসএসকেএমে ভর্তি মুখ্যমন্ত্রী

উল্লেখ্য বুধবার নন্দীগ্রামের রানিচকে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ফেরার সময় গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে মানুষের সঙ্গে কথা বলছিলেন তিনি। সেসময় প্রচুর লোক তাঁকে ঘিরে ছিলেন। সেসময় আচমকা কয়েকজন ধাক্কা মারেন বলে অভিযোগ। ধাক্কায় গাড়ির দরজা বন্ধ হয়ে মুখ থুবড়ে পড়েন তিনি। চোট লাগে বাঁ-পায়ে, মাথায়, কোমরে ও হাতে। নেত্রী দাবি করেছেন, “সেসময় কোনও স্থানীয় পুলিশ, পুলিশ সুপার কেউই ছিল না। চক্রান্ত করেই এসব করা হয়েছে।”