কলকাতা, ১৫ ফেব্রুয়ারি: গত ১১ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার বাম কংগ্রেসের নবান্ন অভিযানে অংশ নেওয়া DYFI কর্মী মইদুল ইসলাম মিদ্দার (Maidul Islam Middya)মৃত্যুর প্রেক্ষিতে ক্ষোভে ফেটে পড়ে বাম এবং কংগ্রেস নেতা, সমর্থকেরা। বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী এই মৃত্যুকে 'খুন' বলে যেখানে উল্লেখ করলেন, সেখানে রাজ্য সরকারকে স্বৈরাচারী বলে আক্রমণ করলেন কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নান।
সুজন চক্রবর্তী তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, 'এটা তো খুন। নবান্নের সাহস হল না ছাত্র যুবদের কথা শোনার। তাঁদের ওপর বেধড়ক আক্রমণ করা হয়। গরিব মানুষকে নিয়ে লড়াই। জলজ্যান্ত ছেলেকে লাশ বানিয়ে দিল, আর কত লাশ চাই সরকারের? ক্ষমতা দেখিয়ে খুন করেছে।' অন্যদিকে আব্দুল মান্নান বলেন,'গণ আন্দোলন দমন করতে গিয়ে যা দেখাল স্বৈরাচারী সরকার, ধিক্কার জানানোর ভাষা নেই। আরও অনেকেই আহত হয়েছেন, কেউ কেউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই ছেলেটি কোনওরকম অরাজকতা করেনি, প্রশাসনের কারোর গায়ে হাত তোলেনি, কী উত্তর দেবে সরকার? নবান্ন অভিযানের অধিকার আছে সবার। কিন্তু এভাবে একজন নিরীহ মানুষের প্রাণ চলে গেল, কে জবাব দেবে?'
আরও পড়ুন, নবান্ন অভিযানে আহত DYFI কর্মীর মৃত্যু, ক্ষোভ উগরে দিলেন বাম-কংগ্রেস নেতৃত্ব
মইদুল বাঁকুড়ার কোতুলপুরের বাসিন্দা। পেশায় অটোচালক তাঁর দুই কন্যাসন্তান রয়েছে। বামেদের অভিযোগ, নবান্ন অভিযানের দিন ডোরিনা ক্রিসংয়ে পুলিশের লাঠিচার্জে মারাত্মক জখমহন ওই DYFI কর্মী। তাঁকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। লাঠির আঘেতে পেশী ফেটে যাওয়াতেই বিপত্তি। সমস্ত প্রোটিন এসে কিডনি ব্লক করে দেয়। ১৩ তারিখে কিডনি ফেলিওর হয়। এরপর ফুসফুসে জল জমতে শুরু করে। ১৪ তারিখ রাতে অবস্থার কিচুটা উন্নতি হলেও সোমবার সকালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে চলে গেলেন মইদুল।
সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, লালবাজার সূত্রে জানানো হয়েছে, বিষয়টি সম্পর্কে জানা নেই। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। ইতিমধ্যেই ময়নাতদন্তের জন্য দেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছে পুলিশ মর্গে। পুলিশ সূত্রে খবর, ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে হবে ময়নাতদন্ত। পাশাপাশি, ময়নাতদন্তের গোটা প্রক্রিয়ার ভিডিওগ্রাফি করা হবে।