কলকাতা, ২২ অক্টোবর: লকডাউনের সময় ভিন রাজ্যে আটকে পড়া পরিযায়ী শ্রমিকদের (Migrant Workers) বাড়ি ফেরার লড়াই, যা দেখে শিউড়ে উঠেছিল গোটা দেশ। হর্ন শুনতে না পাওয়ায় ট্রেনের ধাক্কায় ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছিল একদল পরিযায়ী শ্রমিকের দেহ। লকডাউনে কাজ নেই, রোজগার বন্ধ, দুধের শিশুকে নিয়ে বিহারের বাড়িতে ফিরছিলেন পরিযায়ী মা। স্টেশনেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি। কিন্তু, তা বোঝার মতো ক্ষমতা ছিল না সন্তানের। খিদের জ্বালায় মায়ের মৃতদেহ বার বার ধাক্কা দিচ্ছিল সে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল সেই ভিডিও। কেষ্টপুর প্রফুল্লকানন পশ্চিম অধিবাসীবৃন্দের মণ্ডপে এবার ফুটে উঠেছে পরিযায়ী শ্রমিকদের লকডাউনের জন্য কাটান সেই যন্ত্রণাময় জীবনের কাহিনী।
ভিন রাজ্য থেকে বাড়ি ফেরার সময় হাঁটতে হাঁটতে ক্লান্ত হয়ে স্যুটকেসের উপরই শুয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে সন্তান, সেভাবেই তাকে টানতে টানতে বাড়ি ফিরছেন মা। ভিন রাজ্যে আটকে পড়া বাবাকে ফেরাতে সাইকেল নিয়েই কয়েক'শো মাইল রাস্তা পেরনোর প্রতিশ্রুতি নিয়ে পথে নেমেছিল কিশোরী মেয়ে, হাজারো বাধা অতিক্রম করে বাবাকে নিয়ে মেয়ের বাড়ি ফেরার লড়াই। লকডাউনের সময় বাড়ি ফেরার জন্য যে লড়াই চালিয়েছেন সেই কিশোরী, তার সেই লড়াইয়ের কাহিনী দেখা যাবে পুজো মণ্ডপে। কাজ হারিয়ে মাইলের পর মাইল পথ পায়ে হেঁটে রওনা দিয়েছিলেন সকলে বাড়ি ফেরার উদ্দেশে। এই দীর্ঘ পথচলার লড়াইয়ে কেউ দুর্ঘটনায় কিংবা কেউ অসুস্থ হয়ে মাঝরাস্তায় প্রাণ হারিয়েছেন; লড়াই শেষে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ার সেই ছবিও ফুটে উঠেছে মণ্ডপ চত্বরে।
অবশেষে পরিযায়ী শ্রমিকদের ত্রাতা হয়ে তাদের দু:খের সঙ্গে নিজেকে ওতোপ্রতোভাবে জড়িয়ে নিয়েছিলেন সোনু সুদ। দেশের যেকোনও প্রান্তে আটকে পরা শ্রমিকদের বাড়ি ফিরিয়ে আনছিলেন সোনু সুদ। ট্রেন-বাস যেভাবে হোক সেভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন তিনি। পরিযায়ী শ্রমিকদের কাছে তিনিই হয়ে উঠেছিলেন ভগবান। সেই সোনু সুদকেও দেখা যাবে পুজো মণ্ডপে। কেষ্টপুর প্রফুল্লকাননের থিম মেকার স্বপন চক্রবর্তী রয়েছেন এই সুবিশাল কর্মকাণ্ডের পিছনে। পুজো কমিটির সম্পাদক রঞ্জিত চক্রবর্তী বলেন, "অভিনেতা আমাদের থিমের বিষয়ে জানতে পেরে আমাদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেছিলেন। তাঁর সঙ্গে কথা হয়েছে। আমরা আপ্লুত।" অন্যদিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সোনু সুদও। তিনি বাংলায় দুর্গাপুজোর শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন,"যখন কলকাতা আসব তখন মিষ্টি দই আর রসগোল্লা আপনার থেকে খাবই। মন থেকে আপনাদের সকলকে অনেক ধন্যবাদ। পরের বার দুর্গাপুজোয় যদি যেতে পারি তাহলে আপনার সঙ্গে অবশ্যই দেখা করে আপনাকে শুভেচ্ছা জানাতে চাই।"