কলকাতা বিমানবন্দর (Wikimedia Commons)

কলকাতা, ২৪ মে: আগামীকাল থেকে দেশজুড়ে অভ্যন্তরীণ বিমান পরিষেবা (Domestic flight operations) চালু হচ্ছে। যদিও কলকাতা বিমানবন্দর (Kolkata Airport) থেকে কালই বিমান ওঠানামা করবে না। আম্ফান (Cyclone Amphan) পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যস্ত রয়েছে প্রশাসন। তাই বিমান ২৫ মে থেকে না চালানোর অনুরোধ জানিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠি দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি (CM Mamata Banerjee)। সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আজ কলকাতা বিমানবন্দরের তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্য সরকার জানিয়েছে তারা ত্রাণ ও পুনর্বাসনের কাজে ব্যস্ত। তাই কলকাতা বিমানবন্দর থেকে ২৮ তারিখ থেকে বিমান চলাচল করবে। যদিও খুব কম বিমানই ওঠানামা করবে।

আজ স্বাস্থ্য মন্ত্রক একটি নির্দেশিকা জারি করেছে যাত্রী ও পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থার জন্য। গাইডলাইনে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে যাত্রীদের থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের জন্য বলা হয়েছে। সেইসঙ্গে যাত্রীদের মোবাইলে ‘আরোগ্য সেতু’ অ্যাপ ডাউনলোড করার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক উড়ানের ক্ষেত্রেও নয়া গাইডলাইন দেওয়া হয়েছে। আরও পড়ুন: Health Ministry's Guidelines: ডোমেস্টিক ও ইন্টারন্যাশনাল বিমান যাত্রা নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নির্দেশিকা, দেখে নিন কী কী মানতে হবে

গাইডলাইনে বলা হয়েছে:

  • সব যাত্রীদের আরোগ্য সেতু অ্যাপ মোবাইলে ডাউনলোড করতে হবে
  • সমস্ত সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা নিতে হবে এবং ঘোষণা করতে হবে এয়ারপোর্ট, রেল স্টেশন এবং বাস টার্মিনাসে
  • বিমান, ট্রেন বা বাস ছাড়ার সময় প্রত্যেক যাত্রীদের থার্মাল স্ক্রিনিং করাটা বাধ্যতামূলক। তারপরই যাত্রীদের বিমান, ট্রেন বা বাসে চড়ার অনুমতি দেওয়া হবে
  • যাত্রীদের ফেস মাস্ক বা কভার পরা এবং হাত ধোয়ার বা স্যানিটাইজের জিনিস সঙ্গে রাখাটা বাধ্যতামূলক
  • বিমানবন্দর, রেল স্টেশন এবং বাস টার্মিনাসগুলিতে যাত্রীদের মধ্যে সোশাল ডিস্টেন্সিং বজায় রাখা বাধ্যতামূলক
  • বেরনোর সময়েও সেখানে থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা রাখতে হবে
  • উপসর্গহীন যাত্রীদেরও ১৪ দিন নিজেদের স্বাস্থ্যের দিকে নজর রাখতে হবে ৷ কোনও সমস্যা হলেই তা জানাতে হবে বা জাতীয় কল সেন্টার ১০৭৫ নম্বরে ফোন করে জানাতে হবে।
  • বিমানবন্দর, রেল স্টেশন এবং বাস টার্মিনাসগুলিকে প্রতিনিয়ত জীবাণুমুক্ত বা স্যানিটাইজড করার ব্যবস্থা রাখতে হবে।
  • কোনও যাত্রীর উপসর্গ থাকলেই তাঁকে আইসোলেশনে থাকতে হবে সবচেয়ে কাছের হাসপাতাল বা হেল্থ সেন্টারে। ভালোমতো লক্ষণ দেখা দিলে কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করা হবে ৷