দিনহাটা, ২ জুনঃ ভরদুপুরে বাড়িতে ঢুকে বিজেপি নেতাকে গুলি করল কয়েকজন দুষ্কৃতী। হাসপাতালে ভর্তির কিচ্ছুক্ষণের মধ্যেই মৃত্যু হয় দিনহাটার বিজেপি নেতা প্রশান্ত রায় বাসুনিয়ার। কোচবিহারের (Cooch Behar) দিনহাটায় বিজেপি নেতার খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। বিজেপি নেতা খুনের ঘটনায় সন্দেহের তীর যাচ্ছে তৃণমূলের (TMC) দিকে। যদিও অভিযোগের নিশানা হটিয়ে স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী উদয়ন গুহ (Udayan Guha) দাবি করেছেন, নিহত যুবক একজন সমাজ বিরোধী ছিলেন। তাঁর সমাজ বিরোধী কার্যকলাপের জন্যে পুলিশের নজর তাঁর উপর সর্বক্ষন ছিল।
অন্যদিকে নিহত যুবকের মায়ের দাবি, ছেলে প্রশান্ত রায় বাসুনিয়া বিজেপি করায় হামেশায় স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তারা তাঁকে নানাভাবে হেনস্থা করতেন। মৃত বিজেপি নেতার মা জানান, ঘটনার দিন বাড়িতেই ছিলেন প্রশান্ত। আচমকা বাড়িতে কয়েকজন যুবক আসে। তাঁদের সঙ্গে বচসায় জড়ায় ছেলে। তাঁদের মধ্যে বাক বিতণ্ডা এতটাই বেড়ে যায় এক যুবক বন্দুক বের করে প্রশান্তকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। গুলি সোজা এসে লাগে বিজেপি নেতার মাথায়। সঙ্গে সঙ্গে মাটিয়ে লুটিয়ে পড়েন তিনি। কী করবেন বুঝতে না পেরে বৃদ্ধা মা পুলিশকে ফোন করেন। পুলিশ এসে প্রশান্তর দেহ উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে মৃত্যু হয় দিনহাটার বিজেপি নেতা প্রশান্ত রায় বাসুনিয়ার।
আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটের আগে বাড়িতে ঢুকে বিজেপি নেতার খুনের ঘটনায় কোচবিহারের আইন শৃঙ্খলা প্রশ্ন চিহ্নের মুখে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এই খুনের ঘটনার পিছনে তৃণমূলের হাত রয়েছে বলেই দাবি তুলেছেন। বিজেপি নেতার খুনে সিবিআই তদন্তের আর্জিও জানিয়েছেন তিনি।
তবে বিজেপির (BJP) সেই অভিযোগ একেবারেই কর্নপাত করলেন না দিনহাটা বিধায়ক উদয়ন গুহ। পাল্টা প্রশান্তকে সমাজ বিরোধী বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। এবং বিজেপি নেতার খুনের পিছনে দলীয় কোন্দল রয়েছে বলেই মনে করছেন গুহ।