কলকাতা, ৮ নভেম্বর: নোটিবাতিলের (Demonetisation) তিন বছর পূর্তিতে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি (Mamata Banerjee) ২০১৬ সালের ৮ অক্টোবর নোট বাতিলের ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। ৮ নভেম্বর রাত ৮ টা নাগাদ এক ঘোষণায় প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছিলেন মধ্যরাত থেকে ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিল হয়ে যাবে। এই সিদ্ধান্তের পেছনে দুর্নীতি ও কালোটাকার কথা বলা হয়েছিল। যদিও এই সিদ্ধান্তের যৌতিকতা নিয়ে বহুবার দেশে-বিদেশে চর্চা হয়েছে। আজ টুইটারে নোটবাতিলের তিন বছর পূর্তিতে কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করেন মমতা ব্যানার্জি।
টুইটে তিনি লেখেন, "২০১৬ সালে আজকের দিনে নোটবন্দি চালু করা হয়। ঘোষণার কিছুক্ষণের মধ্যেই আমি বলেছিলাম দেশের অর্থনীতি ও সাধারণ মানুষের জীবন এর ফলে বিঘ্নিত হবে। এখন বিশ্বের তাবড় অর্থনীতিবিদ থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ ও বিশেষজ্ঞ - সবাই একই কথা বলছেন। আরবিআইয়ের পরিসংখ্যানও এটিকে একটি ব্যর্থ কাজ বলে দেখিয়েছে।" তিনি লেখেন, "সেই দিন অর্থনীতির বিপর্যয় শুরু হয়েছিল আর আজ দেখুন কি পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। ব্যাঙ্ক সঙ্কটে, অর্থনীতি মন্দায়। সকলে ভুক্তভুগী। কৃষক থেকে মজদুর, ছাত্র থেকে যুব, ব্যবসায়ী থেকে গৃহবধূ - সকলে।" আরও পড়ুন: Anjan Mitra Passes Away: 'ভালোবাসার বারান্দা'-র পর ফাঁকা হল ময়দানও, চলে গেলেন প্রাক্তন মোহনবাগান সচিব অঞ্জন মিত্র
Today is the third anniversary of #DeMonetisationDisaster. Within minutes of announcement, I had said that it will ruin the economy and the lives of millions. Renowned economists, common people & all experts now agree. Figures from RBI have also shown it was a futile exercise 1/2
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) November 8, 2019
নোটবাতিলের ঘোষণার সময় সরকার আত্মবিশ্বাসী ছিল যে এটি ইতিবাচকভাবে অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলবে। তিন বছরের পর সাধারণ মানুষ এই সিদ্ধান্তের সম্পর্কে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছে। যা সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষায় প্রকাশ পেয়েছে। www.moneycontrol.com-র খবর অনুযায়ী লোকাল সার্কেল (LocalCircles)-র সমীক্ষায় দেখা গেছে, প্রায় ৩২ শতাংশ লোক মনে করেন যে অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের আয় কমার জন্য দায়ী নোটবাতিল। অন্যদিকে, ২৮ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন যে নোটবাতিলের কিছুটা নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। নোটবাতিলের তিন বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে সারা দেশের অন্তত ৫০ হাজার মানুষের কাছে নোটবাতিল নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। ৪২ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন যে নোটবাতিলের ফলে বিপুল সংখ্যক লোকজনকে কর কাঠামোর মধ্যে আনা হয়েছে।
২৫ শতাংশ মনে করেছেন যে এই পদক্ষেপের কোনও লাভ নেই। প্রায় ২১ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন, নোটবাতিলের ফলে অর্থনীতিতে কালো টাকা কমেছে এবং ১২ শতাংশ বলেছেন যে এটি সরাসরি কর আদায় বৃদ্ধি করেছে। ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর পর্যন্ত বাজারে ৫০০ ও ১০০০ টাকার পুরোনো নোট ছিল ১৫.৪১ লাখ কোটি টাকার। এর মধ্যে মধ্যে ৯৯.৩ শতাংশ বা ১৫.৩১ লাখ কোটি টাকার নোট ব্যঙ্কিং সিস্টেমে ফিরে আসে। মাত্র ১০, ৭২০ কোটি টাকা ফিরে আসেনি।