নতুন দিল্লি, ৭ জুলাই: গত ৩ জুলাই উত্তর প্রদেশের হাতরাসে পদপিষ্ট হয়ে শতাধিক মানুষের মৃত্য়ুর ঘটনার পর দুর্ঘটনাস্থলে যান রেখা শর্মা (Rekha Sharma)। সেই সময় রেখা শর্মা-র মাথায় এক ব্যক্তিকে ছাতা ধরতে দেখা যায়। এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে এক ব্যক্তি প্রশ্ন তোলেন, "জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন কেন তার ছাতা ধরে রাখছেন না"। সেই পোস্টের জবাব দেওয়ার সময় মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra) লেখেন, 'তিনি তার বসের পাজামা ধরে রাখতে খুব ব্যস্ত'।
এরপরই মহুয়ার মন্তব্য নিয়ে ঝড় ওঠে। মহুয়ার মন্তব্য কুরুচিকর ও শালীনতার সব সীমা ছাড়িয়েছে বলে অনেকেই অভিযোগ করেন। এই মন্তব্যে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ২০২৩-এর ৭৯ ধারাকে আকর্ষণ করে মহিলা কমিশন৷ মহুয়ার বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করা হয়। মহুয়ার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার দাবি জানিয়েছিল জাতীয় মহিলা কমিশন। মহুয়ার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবিতে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা এবং দিল্লি পুলিশকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবিতে একটি আনুষ্ঠানিক চিঠি ইমেল করেছিল মহিলা কমিশন। মহুয়ার দাবি, তিনি কোনও খারাপ কথা বলেননি। শুধু একটু জানেন তিনি নিজের ছাতা নিজে ধরতে পারেন। বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদবকে নিয়ে রেখা শর্মা-র অতীতের বেশ কিছু আপত্তিকর মন্তব্য সামনে আনেন মহুয়া।
জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রধান রেখা শর্মা-র সঙ্গে দেশের বিরোধী নেতা-নেত্রীদের সম্পর্কটা একেবারেই ভাল নয়। বিরোধীরা বারবার অভিযোগ করেন, রেখা আসলে বিজেপি-কে রাজনৈতিকভাবে সুবিধা পাইয়ে দিতে বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলিতে অতি সক্রিয়তা ও রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট মদত করেন। জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রধান হিসেবে সন্দেশখালি কাণ্ডের সময় বাংলায় এসে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের পদত্যাগ দাবিও করেছিলেন। এরপর থেকেই রেখার সঙ্গে সাপে নেউলে সম্পর্ক তৃণমূলের। কংগ্রেস, আপ, সমাজবাদী পার্টি, আরজেডি নেতারাও দাবি করেন রেখা আসলে বিজেপির হয়ে কাজ করছেন। তবে রেখার দাবি তিনি পুরোপুরি নিরপেক্ষতার সঙ্গেই কাজ করেন।