শিলিগুড়ি, ২০ অক্টোবর: সোমবার রাত থেকে টানা বৃষ্টিতে (Rain) বিপর্যস্ত দার্জিলিং (Darjeeling)। বুধবারও সকাল থেকেও বৃষ্টি শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই টানা বৃষ্টির জেরে বিভিন্ন জায়গায় ধস (Landslides) নেমেছে। কালিম্পং এবং গ্যাংটকগামী ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের কোনও কোনও জায়গা তিস্তার জলে ভেসে গিয়েছে। এছাড়াও ট্রেকিং বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আবহাওয়ার উন্নতি হলেই ট্রেকিং রুট খোলা হবে বলে জানানো হয়েছে প্রশাসনের তরফে। আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি চলবে। দার্জিলিং ছাড়াও আলিপুরদুয়ার, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় আগামী ২৪ ঘণ্টায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে বৃষ্টি কমতে পারে।
সোমবার রাত থেকে উত্তরবঙ্গের অনেক জায়গায় মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে, যার ফলে এলাকায় বেশ কয়েকটি ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। হঠাৎ বৃষ্টির ফলে বেশ কয়েকটি এলেকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। পুজোর সময় দার্জিলিং যাওয়া অনেক পর্যটক আটকে পড়েছেন। পুজোর ছুটির সময় অনেকে ট্রেকিং করতে যান। খারাপ আবহাওয়ার কারণে এটি আপাতত বাতিল করা হয়েছে। রিম্বিক এবং সান্দাকান ট্রেক বন্ধ। তাগদা-তিনচুলি এবং কালিঝোরা-রংপো সংযোগকারী রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আরও পড়ুন: Petrol-Diesel Price: ২ দিন বিরতি দিয়ে আজ আবার বাড়ল পেট্রল ও ডিজেলের দাম
মঙ্গলবার বিকেলে জলপাইগুড়ি জেলার ডুয়ার্সের কাছে গরুবাথনে হঠাৎ মেঘভাঙা বৃষ্টি শুরু হয়। বৃষ্টির জেরে তিস্তার জলস্তর বাড়তে শুরু করে। পরিস্থিতি এমন হয় যে লকগেটের উপর দিয়ে বইতে থাকে জল। শিলিগুড়ির পরিস্থিতিও বেশ খারাপ। রিম্বিকের পালমাজুয়া ব্রিজের কাছে ধস নেমে রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। ভূমিধসের কারণে কালিম্পংয়ের একটি রাস্তাও ভেঙে পড়েছে, যার কারণে সিকিমের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
বৃষ্টির কারণে কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এখনও পর্যন্ত একজনের মৃত্যুর খবর এসেছে। মঙ্গলবার দুপুরে কালিম্পং থেকে গরুবাথান আসার পথে লাভা রোডের ৩ মাইলে একটি ছোট গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছে ধাক্কা মেরে খাদে পড়ে যায়। মৃত গাড়ি চালকের নাম কৈলাস বর্মণ। তাকদাতে একটি বাড়ি ভেঙে পড়ে, কিন্তু বাড়ির কোনও সদস্য আহত হননি। একটি গাড়ি একটি পাথরে ধাক্কা খেয়ে সোজা খাদে পড়ে যায়, এতে যাত্রীরা আহত হন। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।