কলকাতা, ১৮ এপ্রিল: গার্ডেনরিচ থানার (Garden Reach Police Station) অফিসার ইন চার্জ করোনাভাইরাসে (Coronavirus) আক্রান্ত। সূত্রের খবর, তিনি সল্টলেকের AMRI হাসপাতালে চিকিত্সাধীন। তাঁর শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল বলে জানা যাচ্ছে। ১৫ এপ্রিল সন্ধেয় তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন। ১৬ এপ্রিল নমুনা পরীক্ষা হয়। সেই রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। তারপর আবার গতকাল নমুনা পরীক্ষা হয়। সেই রিপোর্ট পজিটিভ আসে। ওই পুলিশ অফিসারের পরিবারের সদস্যদের কোয়ারান্টিনে রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। যদিও সরকারি ভাবে এখনও কিছু জানানো হয়নি। কলকাতা পুলিশও এ নিয় কিছু জানায়নি।
এদিকে সূত্রের খবর করোনাভাইরাসে হয়েছেন স্বাস্থ্য দপ্তরের এক আধিকারিকো। তিনি স্বাস্থ্য দফতরের অতিরিক্তি অধিকর্তা। বেহালার বাসিন্দা ওই আধিকারিককে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে তাঁর রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। সরকারি হিসেবে এই মুহূর্তে বাংলায় ১৬২ জন করোনা আক্রান্ত। মুখ্যমন্ত্রী পরিসংখ্যান ঘোষণা করে জানান, রাজ্যে করোনায় আক্রান্ত বেড়ে হয়েছে ১৬২ জন। নতুন করে করোনায় আক্রান্ত ২২ জন। ৪ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের। আরও পড়ুন: Coronavirus In Kolkata: 'রেড স্টার জোন' হাওড়া-কলকাতা, করোনা মোকাবিলায় আরও কঠোর মুখ্যমন্ত্রী
করোনা সংক্রমণে হাওড়াকে 'অত্যন্ত স্পর্শকাতর' বলে এলাকাবাসীকে সতর্ক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি (CM Mamata Banerjee)। কলকাতা এবং হাওড়া এইমুহূর্তে বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। প্রশাসন এই দুই শহরকে 'রেড স্টার জোন' হিসেবে বিবেচনা করে কঠোর লকডাউন করা হয়। তবে রেহাই পেয়েছে সল্টলেক। সেখানে নতুন করে কোনও পজিটিভ কেস না আসায় সিল করা হয়নি। তবে সল্টলেক না থাকলেও উত্তর ও মধ্য কলকাতার অনেকগুলি ওয়ার্ড করোনার দাপটে স্তব্ধ।
হাওড়া সদর, সালকিয়া, মালিপাঁচঘড়া, হাওড়া ময়দান, মল্লিকফটক, সন্ধ্যাবাজার, ফোরশোর রোড ইত্যাদি এলাকা লকডাউন। উত্তর কলকাতায় দক্ষিণ দমদম পৌরসভার নাগেরবাজার অঞ্চল পুরোপুরি ব্যারিকেড হয়েছে। বন্ধ সমস্ত দোকানবাজার। বাসিন্দাদের পুলিশ সদস্যরা জানিয়েছে যে রাজ্য সরকার তাদের সমস্ত প্রয়োজনীয় জিনিস সরবরাহ করবে। একেবারে প্রয়োজনীয় না হলে স্থানীয়দের বাইরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে না, বাইরের লোকদের এই এলাকায় ঢুকতে দেওয়া হবে না।