মুর্শিদাবাদ: রবিবার সকালে উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরে (Dutta Pukur) বেআইনি বাজি কারখানায় আচমকা বিস্ফোরণের (crackers factory blast) জেরে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরপরই রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে শোরগোল। একযোগে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিরোধীরা। এবার এই ঘটনায় রাজ্য সরকারকে তীব্র আক্রমণ করলেন প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী (Congress leader Adhir Ranjan Chowdhary)।
মুর্শিদাবাদে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, "যে পরিমাণ বিস্ফোরক পাওয়া গেছে তাতে এটা স্পষ্ট যে বাংলার সরকার (Bengal government) যেখানে খুশি সেখানে বিস্ফোরক (explosives) ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে। বিস্ফোরকের ব্যবসায়ীদের তাদের ব্যবসা চালানোর জন্য সম্পূর্ণ স্বাধীনতা (complete freedom) দেওয়া হয়েছে। এর ফলেই ধারাবাহিক ভাবে বিস্ফোরণ হচ্ছে আর মারা যাচ্ছেন মানুষ। এটা বাংলার সরকারের ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে। যখন কোনও বিস্ফোরণ হচ্ছে তখন আমরা জানতে পারছি কেউ মারা গেছে। তারপর আবার সবাই চুপচাপ হয়ে যাচ্ছেন এবং অবৈধ ব্যবসা (illegal business) চলেই যাচ্ছে কারণ সরকার নীরব থাকতে পছন্দ করে আর সাধারণ মানুষকে তার মূল্য দিতে হয়।"
#WATCH | Murshidabad, West Bengal: On Dutta Pukur crackers factory blast, Congress leader Adhir Ranjan Chowdhary says, "The amount in which the explosives are found it is clear that Bengal government has given the permission to use explosives wherever one wants. Traders in… pic.twitter.com/aoyuzQdpT0
— ANI (@ANI) August 27, 2023
আজ সকালে আচমকা উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরের নীলগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মোষপোল পশ্চিমপাড়া অঞ্চল এক বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে। ধূলিসাৎ হয়ে যায় আস্ত একটি দোতলা বাড়ি। বিস্ফোরণের প্রভাব এতটাই বেশি ছিল যে আশেপাশের ১০০টির কাছাকাছি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। বিস্ফোরণের খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ।
কিন্তু, স্থানীয়রা পুলিশ দেখা মাত্রই বিক্ষোভ শুরু করেন। পুলিশকে ঘিরে তাঁরা অভিযোগ তোলেন, প্রশাসনের মদতেই ওই এলাকায় বেআইনিভাবে বাজি কারখানা তৈরি হয়েছিল। স্থানীয়দের আরও অভিযোগ, পুলিশের পাশাপাশি স্থানীয় নেতারাও যুক্ত রয়েছে এই বেআইনি বাজি তৈরির কর্মকাণ্ডে। আরও পড়ুন: Duttapukur Blast: মমতার নেতৃত্ব গোটা রাজ্যে বিস্ফোরণের পরিস্থিতি রয়েছে, দত্তপুকুর বাজি কারখানাকাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রীর নিন্দায় সরব শুভেন্দু