কলকাতা, ২০ ডিসেম্বর: গতকাল নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের (CAA) বৈধতা বিচারে গণভোট দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি (CM Mamata Banerjee)। তা নিয়ে ক্ষুব্ধ হন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখর (Jagdeep Dhankhar)। এর ঠিক ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। বৃহস্পতিবার রানি রাসমণি রোডে CAA বিরোধী জনসভায় রাষ্ট্রসংঘের মতো নিরপেক্ষ সংস্থার তত্ত্বাবধানে দেশজুড়ে গণভোটের দাবি করেন তিনি।
এরপরই মমতা ব্যানার্জির উদ্দেশ্যে তীব্র আক্রমণ করে বিজেপি। ভোটব্যাঙ্কের (Votebank) জন্য দেশের সার্বভৌমত্বকে প্রশ্নের মুখে ফেলেন তিনি। সাংবিধানিক পদে থেকে মুখ্যমন্ত্রীর এধরনের মন্তব্য করা উচিত নয় বলে জানান রাজ্যপাল জগদীপ ধনখর। শুক্রবার তপসিয়ায় তৃণমূল ভবন দলের বিধায়ক ও সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিক বৈঠকে এই নিয়ে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন তিনি। তিনি বলেন, আমি তো নিরপেক্ষ সংস্থার দ্বারা গণভোট করানোর কথা বলেছিলাম। উদাহরণ হিসাবে রাষ্ট্রসংঘের কথা উল্লেখ করি। আমি চাই নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধানে এই বিষয়ে গণভোট হোক।
আরও পড়ুন, 'মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য সংসদের অপমান', কলকাতায় এসে মমতা ব্যানার্জিকে তোপ স্মৃতি ইরানির
এছাড়াও এদিন তিনি আরও পাঁচ লক্ষ গরীব ও পিছিয়ে পড়া পরিবারগুলিকে বার্ধক্য পেনশন, প্রতিবন্ধী পেনশন, গ্রামীণ গৃহ নির্মাণ প্রকল্প ইত্যাদির আওতায় আরও পাঁচ লক্ষ মানুষকে আর্থিক সুবিধা দেওয়া হবে। এরজন্য ইতিমধ্যেই অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। সকলের সুবিধা, অসুবিধা বিচার বিবেচনা করে বার্ধক্য পেনশন, প্রতিবন্ধী পেনশন, গ্রামীণ গৃহ নির্মাণ প্রকল্প ইত্যাদির আওতায় সুবিধা দেওয়া হবে।