Eastern Railway on Chhath Puja (Photo Credit: News On Air)

ছটপুজো উপলক্ষে দেশের মধ্যে উৎসব স্পেশাল ট্রেন পরিষেবার পাশাপাশি কিছু জায়গায় রেল পরিষেবা সাময়িকভাবে নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। বঙ্গে চক্ররেল চলে গঙ্গা সংলগ্ন অংশ দিয়ে তাই রাজ্য সরকারের অনুরোধে পূর্ব রেল এবছরের ছট পুজোয় চক্র রেল চলাচলে নিয়ন্ত্রণ করেছে।পূর্ব রেলের শিয়ালদা বিভাগ জানিয়েছে, ছটপুজো এবং দণ্ডী কাটার প্রথার কারণে কিছু ট্রেন বাতিল করা হয়েছে, আর কিছু ট্রেনের গন্তব্য পরিবর্তন করা হয়েছে। এই নির্দেশিকা অনুযায়ী, ছটপুজোর দু’দিন – ৭ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) এবং ৮ নভেম্বর (শুক্রবার) – কলকাতাসহ সংলগ্ন অঞ্চলে ওই দু’দিন বেশ কিছু ট্রেন বাতিল এবং কিছু ট্রেন কে ঘুর পথে চালানো হবে বলে পূর্ব রেল সূত্রে জানানো হয়েছে।

রাজ্যের প্রশাসন রেলের কাছে এই বিষয়ে আবেদন জানিয়েছিল, যা পূর্ব রেল মেনে নিয়েছে। তাই যারা এই সময়কালে যাতায়াতের পরিকল্পনা করছেন, তাদের জন্য সতর্কতা হিসেবে ট্রেনের সময়সূচি জেনে নেওয়া বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।

বাতিলকৃত ট্রেনের তালিকাঃ-

ছটপুজোর সময়ে কিছু নির্দিষ্ট ট্রেন সম্পূর্ণভাবে বাতিল করা হয়েছে, যা যাত্রীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বাতিল ট্রেনগুলো হলো:

শিয়ালদা থেকে বিবাদী বাগ লোকাল: 30412, 30416

শিয়ালদা থেকে ব্যারাকপুর লোকাল: 31223

বিবাদী বাগ থেকে ব্যারাকপুর- বিবাদী বাগ লোকাল: 30113

সংক্ষিপ্ত যাত্রাপথে চলবে যেসব ট্রেনঃ- 

কিছু ট্রেনকে তাদের নিয়মিত গন্তব্যের পরিবর্তে সংক্ষিপ্ত যাত্রাপথে চলার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই ট্রেনগুলো যাত্রীদের সুবিধার্থে কলকাতা স্টেশন পর্যন্ত চলাচল করবে:

30322 হাসনাবাদ-বিবাদী বাগ

30128 কল্যাণী সীমান্ত-মাঝেরহাট

30324 হাসনাবাদ-মাঝেরহাট

30346 বনগাঁ-মাঝেরহাট

এছাড়াও, কিছু ট্রেন তাদের নির্ধারিত গন্তব্যের পরিবর্তে মাঝেরহাট থেকে কলকাতা স্টেশন পর্যন্ত চলাচল করবে। উদাহরণস্বরূপ, 30145 বিবাদী বাগ-কৃষ্ণনগর এবং 30333 মাঝেরহাট-হাবড়া।

যেসব ট্রেন ঘুরপথে চলবেঃ- 

কিছু ট্রেনকে ঘুরপথে গন্তব্যে পৌঁছানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেগুলি হল-

30142 গেদে-মাঝেরহাট লোকাল: টালা হয়ে গন্তব্যে পৌঁছাবে

30332 নৈহাটি-মাঝেরহাট লোকাল: বালিগঞ্জ হয়ে গন্তব্যে পৌঁছাবে

30152 নৈহাটি-মাঝেরহাট: বালিগঞ্জ হয়ে চলবে

এই পরিবর্তিত সময়সূচি এবং গন্তব্য পরিবর্তন যাত্রীদের জন্য বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশিকা বহন করে। পূর্ব রেল জানিয়েছে, ছটপুজো উপলক্ষে এই সাময়িক পরিবর্তনগুলির উদ্দেশ্য হচ্ছে জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।