নয়াদিল্লিঃ যোগ্য-অযোগ্য তালিকা প্রকাশে ব্যর্থ এসএসসি (School Service Commision)। উল্টে সোমবার মধ্যরাতে এসএসসির তরফে জানানো হয়, সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নির্দেশ মেনেই কাজ হবে। এই একই কথা শোনা যায় শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর গলায়। আর এরপরই আরও বাড়ে চাকরিহারাদের আন্দোলনের ঝাঁজ। এসএসসির তরফে পূর্ণ তালিকা না প্রকাশ করলে সল্টলেকের আচার্য ভবন প্রাঙ্গণ থেকে সরবেন না তাঁরা,সাফ জানিয়ে দেন তাঁরা। রাতভর এসএসসি ভবনের সামনেই বিক্ষোভ দেখান চাকরিহারারা। রাতভর পুলিশের সঙ্গে চলে ধস্তাধস্তি। এসএসসি-র চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদারকে নিরাপত্তা দিয়ে বের করে নিয়ে যেতে গেলে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের বচসা শুরু হয়।
চাকরিহারাদের আন্দোলনে উত্তপ্ত করুণাময়ী চত্বর
রাত ১ টা নাগাদ আচমকাই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় আচার্য সদনে। পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে নামানো হয় র্যাফ। চাকরিহারাদের অভিযোগ, তাঁদের গায়ে হাত তুলেছে পুলিশ। পাল্টা বিধাননগরের ডিসি অনীশের বক্তব্য, পুলিশ তাঁদের কাজ করেছে। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "পুলিশ নিয়ম মেনে কাজ করে।" মহিলা পুরুষ নেই নেই কেন? এই নিয়েও প্রশ্ন তোলেন চাকরিহারা শিক্ষিকারা। আর এই নিয়েই নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায়। সারারাত খোলা আকাশের তলায় বিক্ষোভ দেখান চাকরিহারারা। তাঁদের পাশে এসে দাঁড়ান সাধারণ মানুষ। সোশ্যাল মিডিয়ায় মাধ্যমে আশেপাশের বাড়ি থেকে সাহায্যের কথা জানানো হয়। কেউ পানীয় জলের ব্যবস্থা করেন কেউ আবার নিজের বাড়ির দরজা খুলে দেন আন্দোলনকারী শিক্ষকদের জন্য। সোমবার পেরিয়ে মঙ্গলবার সকালেও একই ছবি। এখনও এসএসসি ভবনের সামনেই অবস্থান করছেন চাকরিহারারা।
মধ্যরাতে এসএসসি ভবনের সামনে ধুন্ধুমার