হুগলির ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট দেবদত্তা রায় (Picture Source: Facebook)

শ্রীরামপুর, ১৩ জুলাই: করোনার গ্রাসে প্রাণ হারালেন চন্দননগরের (Chandannagar) ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট (DM) দেবদত্তা রায় (৩৮) (Debdatta Roy)। ভিন রাজ্য থেকে পশ্চিমবঙ্গের ডানকুনি স্টেশনে নামা পরিযায়ী শ্রমিকদের দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। সেখান থেকেই শরীরে বাসা বাঁধে করোনা। গত কয়েকদিন ভাইরাসের সঙ্গে লড়াইয়ের পর শেষরক্ষা হল না। সোমবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়। এই খবর শোনার পরই শোকের ছায়া নেমে আসে চন্দননগরের মহকুমা শাসকের দপ্তরে।

করোনা পজিটিভ (COVID-19 Positive) হওয়ায় প্রথমে তিনি হোম কোয়ারেন্টিনে ছিলেন। অবস্থার অবনতি হওয়ায় শ্রীরামপুরের শ্রমজীবী হাসপাতালে ভরতি হন তিনি। কিছুদিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন তিনি। নমুনা পরীক্ষার পরে তাঁর ও তাঁর স্বামীর শরীরে করোনার জীবাণু পাওয়া যায়। প্রথমে দুজনের একসঙ্গে চিকিৎসা হলেও দেবদত্তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে কলকাতার এমআর বাঙ্গুর হাসপাতালে ভরতি করার চেষ্টা চলছিল। কিন্তু, রবিবার আচমকা শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় শ্রমজীবী হাসপাতালে ভরতি করতে হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রাণ হারান তিনি।  আরও পড়ুন, ভারতের ডিজিটাল অর্থনীতিতে ৭৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের ঘোষণা গুগলের সিইও সুন্দর পিচাইয়ের

জানা গেছে, ২০১১ সালে ডব্লুবিসিএস অফিসার দেবদত্তা রায় প্রথমে পুরুলিয়ায় ২ নম্বর ব্লকের বিডিও হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পরে হুগলির চন্দননগর মহকুমা অফিসে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে যোগ দেন। ডানকুনিতে পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফেরানোর দায়িত্বে ছিলেন দেবদত্তা। সম্পূর্ণ দায়িত্ব ছিল তাঁর কাঁধে। সেই কাজ করতে গিয়েই করোনায় আক্রান্ত হন তিনি। দমদমের লিচুবাগান এলাকায় স্বামী ও চার বছরের সন্তানকে নিয়ে থাকতেন দেবদত্তা। চার বছরের সন্তানকে ছেড়ে চলে গেলেন ফ্রন্টলাইন কর্মী দেবদত্তা।