রাজ্যপাল জগদীপ ধনখর (Photo:ANI)

কলকাতা, ১২ নভেম্বর: আজ থেকে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখরের (Governor Jagdeep Dhankhar) নিরাপত্তার দায়িত্ব নিল কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনী (Central paramilitary force)। ২৪ ঘণ্টার খবরে প্রকাশ, ৬ জন CRPF-র জওয়ান নিয়ে একটি গাড়ি ওনার সঙ্গে সব জায়গায় যাবে। এছাড়াও রাজভবনে (Raj bhavan)) রাজ্যপালের বাড়ি ও অফিসের নিরাপত্তায় ২৪ ঘণ্টা করে পাহারায় থাকবেন মোট ২ জন জওয়ান। রাজ্য পুলিশ (state police) কেবল রাজভবনের চারটি গেট ও আশপাশের নিরাপত্তা সামলাবে। কারণ, রাজভবনের আশপাশে বিক্ষোভ হলে তা আইন-শৃঙ্খলার বিষয়, পুলিশকেই তা সামলাতে হবে বলে নবান্নের কর্তারা জানাচ্ছেন।

পুজোর আগেই নিরাপত্তা বাড়ানোর আর্জি জানিয়ে রাজ্যপাল চিঠি দেন কেন্দ্রীয় সরকারকে। তারপরই কেন্দ্রীয় সরকার সিদ্ধান্ত নেয় যে রাজ্যপালের নিরাপত্তায় কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়। রাজ্যপালের নিরাপত্তায় কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে আপত্তি তোলে নবান্ন। প্রশ্ন ওঠে, তবে কী রাজ্য পুলিসের উপর ভরসা নেই রাজ্যপালের? এমনকী রাজ্যপালের নিরাপত্তায় কেন্দ্রের একতরফাভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপত্তি জানিয়ে নবান্নের তরফে চিঠি দেওয়া হয় দিল্লিতে। আরও পড়ুন: West Bengal Government sends letter to MHA: না জানিয়ে রাজ্যপালের নিরাপত্তায় কেন সিআরপিএফ, জানতে কেন্দ্রকে চিঠি নবান্নের

চিঠিতে বলা হয়, "রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে রাজ্যপালকে নিরাপত্তা দেওয়া রাজ্য সরকারের দায়িত্ব। রাজ্যপাল দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম দিন থেকেই রাজ্য তাঁকে জেড ক্যাটেগরির নিরাপত্তা দিয়ে আসছে। তাহলে হঠাৎ কেন বা কীসের জন্য রাজ্যপালের নিরাপত্তায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক আধাসেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিল?" জানতে চাওয়া হয় রাজ্য সরকারের তরফে। তৃণমূলরে মহাসচিব তথা শিক্ষামন্ত্রী রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সমালোচনায় মুখর হন, নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়টি নিয়ে তাঁকে খোঁচা দিতেও ছাড়েননি পার্থবাবু। তবে শুধু চিঠি পাঠিয়ে এই নিরাপত্তার প্রসঙ্গ থেকে হাত ধুয়ে ফেলতে নারাজ নবান্ন, নিজেদের দায়িত্ব ফেরাতে যে সংঘাতেও রাজি তা স্পষ্ট হয়ে যায়। যদিও