তখন বাজে বিকেল ৫:১০, কুলতলির (Kultali) নাবালিকা সেই সময় মহিষমারি বাজার দিয়ে যাচ্ছিল। এই সময়ের কয়েক মিনিটের মধ্যে অভিযুক্ত যুবক যে দোকানে দাঁড়িয়েছিল সেটি পেরোয় সে। মেয়েটি বেরিয়ে যাওয়ার ঠিক ৪ মিনিট পর সাইকেল নিয়ে পিছু নেয় অভিযুক্ত। এরপর কী ঘটল? কেন বাচ্চা মেয়েটি তাঁর সাইকেলে উঠল? এই প্রশ্নের উত্তরগুলি খুঁজছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে একটি ভিডিয়ো, যেখানে যুবকটি যে দোকানে দাঁড়িয়েছিল, সেই দোকানটি যখন নাবালিকা পেরোচ্ছিল এবং আড়চোখে তা যুবক দেখে সাইকেল নিয়ে বেরোলো, সেই সময়কার একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। অভিযুক্ত মোস্তাকিন সর্দার সেই সময় কমলা রঙের একটি জামা পরেছিল।

এই ঘটনায় দোষীকে সনাক্ত করতে সবথেকে বড় ভূমিকা ছিল এলাকার কয়েকটি সিসিটিভি ফুটেজ ও নাবালিকার বান্ধবী। জানা যাচ্ছে, শুক্রবার সকালে নির্যাতিতাকে টিউশনে নিয়ে গিয়েছিল তাঁর বাবা। ফেরার সময় প্রতিদিনের মতোই বান্ধবীকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ি আসছিল সে। মাঝরাস্তায় নাবালিকা যখন তাঁর বাবার দোকানে ঢোকে, তখন তাঁর বান্ধবী কিছুটা এগিয়ে যায়। এরপর নির্যাতিতা তাঁকে ইশারায় চলে যেতে বলে।

জানা যাচ্ছে, বাবার দোকান থেকে বেরিয়ে হাঁটতে হাঁটতে বাড়ি ফিরছিল সে। মাঝে অভিযুক্ত যে দোকানে দাঁড়িয়েছিল সেটি পেরোয়। আর তারপরেই ঘটে বিপত্তি। এমনকী অভিযুক্তের সাইকেলে বসে নাবালিকাকে যেতেও দেখে তাঁর বান্ধবী। এই বয়ানের ভিত্তিতেই পুলিশ শনিবার সকালে গ্রেফতার করে মোস্তাকিনকে। প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে বাড়ি ছেড়ে দেওয়া কিংবা চকোলেট বা আইসক্রিমের লোভ দেখিয়ে বাচ্চা মেয়েটিকে অপহরণ করেছিল অভিযুক্ত যুবক।