আরজি কর হাসপাতালে (RG Kar Medical College and Hospital) মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। বৃহস্পতিবার বেশ কয়েকজন চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্মীকে সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করা হয়। এছাড়া প্রাক্তন সুপার সঞ্জয় বৈশিষ্ঠ, পালমোনারি মেডিসিন বিভাগের প্রধান অরুনাভ দত্ত চৌধুরি, ফরেন্সিক বিভাগের এক অধ্যাপিকাকে এদিন তলব করা হয়। পাশাপাশি টালা থানার অফিসার ইনচার্জ অভিজিৎ মণ্ডলকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শুক্রবার ডাকে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা। মূলত, ঘটনার দিন যাঁরা নিহত চিকিৎসকের সঙ্গে ছিলেন এবং যাঁরা ওই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বা এই সম্বন্ধে কিছু জানেন তাঁদের এদিন তলব করা হয়। এছাড়া প্রাক্তন সুপারের বিরুদ্ধেও একাধিক অভিযোগ রয়েছে। সকলেরই বয়ান রেকর্ড করা হবে বলে জানা গিয়েছে। যদিও এদিন সিজিও কমপ্লেক্সে ঢোকার সময় কোনও চিকিৎসক বা কর্মী এই সংক্রান্ত কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

আরজি কর কাণ্ডে এদিন সকালে সোদপুরে নিহত চিকিৎসকের বাড়িতে যান সিবিআই আধিকারিকরা। সেখানে গিয়ে মৃতার বাবা-মায়ের বয়ান রেকর্ড করেন গোয়েন্দারা। অন্যদিকে আগামী রবিবার পর্যন্ত সিবিআইকে তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি দেওয়ার জন্য সময় বেধে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখন দেখার ২৫ জুন পর্যন্ত তদন্তের অগ্রগতি কোনদিকে এগোয়। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় এক সিভিক ভলেন্টিয়ারকে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশ, সেই অভিযুক্তকে সিবিআই নিজেদের হেফাজতে নিয়েছেন। তবে এই ঘটনায় শুধু কি একজনই অভিযুক্ত নাকি এর পেছনে আরও বড় কোনও মাথা জড়িত রয়েছে সেই বিষয়ে এখনই মন্তব্য করতে নারাজ সিবিআই।