ছাত্র পরিষদের নির্বাচন (Student Union Election) নিয়ে কয়েক বছর ধরেই উদাসীন মনোভাব দেখাচ্ছিল রাজ্য সরকার। আর যার ফলে রাজ্যের অধিকাংশ কলেজগুলিতে ক্ষমতা বহাল রেখে দিচ্ছিল তৃণমূলের ছাত্রনেতারা। আর সেই ক্ষমতার অপপ্রয়োগ করে ইউনিয়ন রুমগুলি দখল করে রাখছে তাঁরা। যে কারণে ইদানিং একের পর এক ঘটনা ঘটছে কলেজগুলিতে। কোথাও ঘটছে ধর্ষণের ঘটনা, কোথাও আবার ইউনিয়ন রুম হয়ে গিয়ে ম্যাসাজ পার্লার। আর সেই কারণে ছাত্র পরিষদের নির্বাচনের দাবি করছে রাজ্যের বিরোধী দলগুলি। এই নিয়ে বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে একটি মামলার শুনানি ছিল।
রাজ্যের বিরোধীতায় কর্ণপাত করলেন না বিচারপতি
শুনানি চলাকালিন বিচারপতি সৌমেন সেন নির্দেশ দেন, “ছাত্র সংসদের নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি করা নিয়ে কী ভাবছে রাজ্য সরকার। আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে তা আদালতে জানাতে হবে”। যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য রয়েছে, সেই সমস্ত জায়গায় অবিলম্বে নির্বাচন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদিও রাজ্য সরকারের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় পাল্টা বলেন, “যে সমস্ত কলেজে অস্থায়ী উপাচার্য রয়েছে, সেখানে নির্বাচন করানো সম্ভব নয়”। যদিও এই দাবি মানতে কার্যত নারাজ বিচারপতি সৌমেন সেন। ফলে তিনি তাঁর নির্দেশই বহাল রেখেছেন।
গভর্নিং বডি রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখার কথা বললেন বিচারপতি
যদিও এই মামলায় বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের গভর্নিং বডিগুলিকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখতে হবে। এই বডিগুলিতে শিক্ষাবিদদের রাখার প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছেন বিচারপতি। ফলে দু’সপ্তাহ পর রাজ্য সরকারের এখন সেটাই দেখার।