বারাকপুর, ৫ অক্টোবর: টিটাগড়ের (Titagarh) বিজেপি নেতা (BJP Leader) ও প্রাক্তন কাউন্সিলর মণীশ শুক্লা (Manish Shukla) খুনের ঘটনায় সিবিআই তদন্ত দাবি করল বিজেপি। এ দিন সকালে প্রয়াত নেতার বাড়িতে তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান বিজেপি সহ সভাপতি মুকুল রায়, সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গী, বারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং সহ প্রমুখ।
টিটাগড়ে খুনের পিছনে থাকতে পারে ব্যক্তিগত শত্রুতা বলে মনে করা হচ্ছে। আজ রাজ্য পুলিশ টুইট করা জানায়, খতিয়ে দেখা হচ্ছে খুনের সম্ভাব্য আরও কারণ। সঠিক তদন্তের আগে কোনও সিদ্ধান্তে আসা যাবে না। সোশাল মিডিয়ায় দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য করবেন না বলে আবেদন জানায় পুলিশ। আরও পড়ুন, মণীশ শুক্লা খুনে সোমবার ১২ ঘণ্টার বারাকপুর বনধের ডাক বিজেপির
আজ ময়নাতদন্তের জন্য মণীশ শুক্লার দেহ নিয়ে যাওয়া হয় এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। হাসপাতালে ঢোকার চেষ্টা করে বিজেপি,, এনআরএসের ২ নম্বর গেটের সামনে ধাক্কাধাক্কি হয়। এনআরএসে আটকে দেওয়া হয় বিজেপি নেতা অরবিন্দ মেননকে। বিজেপির দাবি নেতা খুনে জড়িত রয়েছে পুলিশ, তাদের অস্ত্র নিয়েই খুন হয়। তৃণমূল বিধায়কের বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল আততায়ীরা, অভিযোগ অর্জুন সিংয়ের। ডানলপ থেকে অনুসরণ করা হয় বলে দাবি।
ফের উত্তপ্ত বারাকপুর। রবিবার সন্ধ্যারাতে টিটাগড় থানার ঢিলছোঁড়া দূরত্বে দলীয় কার্যালয়ের সামনেই গুলিবিদ্ধ হলেন বারাকপুরের ডাকসাইটে বিজেপি নেতা তথা সাংসদ অর্জুন সিংয়ের ডানহাত মণীশ শুক্লা। হাওড়ার দলীয় সভা সেরে সবে বিটিরোড লাগোয়া ওই পার্টি অফিসে ঢুকছিলেন মণীশ। সেই সময়ই বাইকে চড়ে ঘঠনাস্থলে এসে তাঁকে লক্ষ্য করে চার রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে উধাও হয়ে যায় দুষ্কৃতীর দল। তড়িঘড়ি তাঁকে স্থানীয় বিএন বসু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তখন ঘড়িতে আটটার কাঁটা কিছুটা এগিয়ে গিয়েছে। হাসপাতালে বিজেপি নেতার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে বাইপাসের লাগোয়া এক বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন (Manish Shukla Murder)। এই ঘটনায় সোমবার ১২ ঘণ্টা বারাকপুর বনধের ডাক দিয়েছে বিজেপি।