সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামে আন্দোলন করেই ক্ষমতায় এসেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। সেই সময় তাঁর সহযোদ্ধার মধ্যে অন্যতম ছিলেন তৎকালিন তৃণমূল নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সেই আন্দোলনের চাপে বাধ্য হয়ে পিছু হেঁটেছিলেন শিল্পপতি রতন টাটা। সিপিএম ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর জমি ফেরতের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তৃণমূল সরকার। কিন্তু সেই জমিতে সেভাবে চাষ বা শিল্প কিছুই হয়নি। টাটা ন্যানোর কারখানা বাংলা থেকে সরে গিয়ে তৈরি হল গুজরাটে। তবে এই সিঙ্গুর থেকেই এবার মমতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু করতে চলেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। রতন টাটার স্মরণে বিজেপির সিঙ্গুর জনসভা থেকে তৃণমূলের উদ্দেশ্যে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বললেন, টাটাকে তাঁরা সিঙ্গুরে ফেরাবেন।

এদিন এই জনসভা খেকে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিধায়ক বেচারাম মান্নার উদ্দেশ্যে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, "আমরা সিঙ্গুরের জমি নিয়ে আন্দোলন শুরু করব। হয় জমিকে চাষযোগ্য করে তুলতে হবে না হলে শিল্প ফেরাতে হবে। সরকারকে সিঙ্গুরের জমি নিয়ে কিছু একটা করতে হবে। তাঁরা যদি না পারে তাহলে আমরা ক্ষমতা এসে সিঙ্গুরে টাটাকে ফেরাব। টাটা ফাউন্ডেশন দেশজুড়ে ক্যানসার চিকিৎসার জন্য একাধিক সংস্থা বানাচ্ছে। সেখানে তাঁদের সিঙ্গুরে লগ্নি করা ২০০ কোটি টাকা তো তৃণমূল ফেরাতে পারত। কিন্তু সেটা ফেরায় নি। বাংলার মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর সরকারের কৃতকর্মের জন্য আজ রতন টাটার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী"।

এদিন শুভেন্দু আরও বলেন, "সিপিএমের জন্য মমতা এখানে ঢুকতে পেরেছে। বেশিরভাগ ভাগচাষী চেক পেয়েছিলেন। কিন্তু বর্গারদের টাকা দেওয়া হয়নি। এটা সিপিএমের সবথেকে বড় ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। এর জন্যই তৃণমূল এখানে ঢুকতে পেরেছিল। বুদ্ধবাবু যদি মমতাকে মেরে তুলে দিতেন তাহলে সিঙ্গুরের এই অবস্থা হত না। জ্যোতিবাবু থাকলে এমন অবস্থা কখনই হত না। এখন এই জমিতে কী হবে? সিমেন্ট, রডের জমিতে কোনও কৃষি হওয়াই সম্ভব নয়। বেচারাম মান্না এখন প্রমোটিং করে পয়সা বানাচ্ছে। এক পকেটে পুলিশ রাখে। পুলিশ সরে গেলে এলাকাবাসী এর যোগ্য জবাব দেবে"।