
কলকাতা, ৭ এপ্রিল: বিজেপির যুব মোর্চার ডাকে কালীঘাট চলো অভিযান শুরু হলে উত্তেজনা ছড়ায়। সোমবার দুপুরে বিজেপির কালীঘাট চলো অভিযান শুরু হতেই ধরপাকড় শুরু হয়। কালীঘাট চলো অভিযানের মাঝে বেশ কিছু বিজেপি কর্মীকে আটক করে কলকাতা পুলিশ। মুখ্যমন্ত্রীর 'পদত্যাগ' দাবি করে বিজেপির নেতা, কর্মীরা কালীঘাট চলো অভিযানে সামিল হন। যার জেরে সপ্তাহের প্রথম দিনেই শহরের রাজপথে উত্তেজনা ছড়াতে শুরু করে। বিজেপির কালীঘাট চলো অভিযানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিতে শুরু করেন গেরুয়া শিবিরের সমর্থকরা। যার জেরে উত্তেজনা ছড়ায়। এসবের মাজেই বিজেপি নেত্রী লকট চট্টোপাধ্যায়কে আটক করে পুলিশ।
লকেট চট্টোপাধ্যায়কে আটকের পর লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতা পুলিশের তরফে। ফলে বিজেপির কালীঘাট চলো অভিযানে কার্যত দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়াতে শুরু করে শহরের রাজপথে। দফায় দফায় অশান্তি এবং পুলিশের সঙ্গে ধাস্তাধস্তির জেরে ক্রমাগত উত্তেজনা বাড়তে শুরু করে।
২০১৬ সালে এসএসসির গোটা প্যানেল সুপ্রিম কোর্টের তরফে বাতিল করায় ২৬ হাজারের চাকরি যায়। যার জেরে গোটা রাজ্যে ফের রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়তে শুরু করে। পূর্ব ঘোষিত পরিকল্পনা অনুযায়ী সবার মুখ্যমন্ত্রী নেতাজি ইন্ডোরে চাকরিহারাদের সঙ্গে বৈঠক শেষ করতেই বিজেপির প্রতিবাদ শুরু হয়। আর সেখান থেকেই পুলিশের সঙ্গে বিজেপির কর্মী, সমর্থকদের উত্তেজনা, অশান্তি ক্রমশ বাড়তে শুরু করে।
প্রসঙ্গত বিজেপির ডাকে কালীঘাট চলো অভিযানে যাতে অশান্তি না ছড়ায়, তার জন্য আগে থেকেই পদক্ষেপ করে কলকাতা পুলিশ। তা সত্ত্বেও এক্সাইড মোড়ে উত্তেজনা ছড়ায়। কলকাতা পুলিশের ৩টি প্রিজ়ন ভ্যান যেমন মোতায়েন করা হয়, তেমনি ব্যারিকেডের মাধ্যমও বিক্ষোভকারীদের আটকানোর চেষ্টা করা হয় প্রশাসনের তরফে।