দিনকয়েক আগে কালনা পুরসভার চেয়ারম্যানের কাছে একটি হুমকি ফোন আসে। যেখানে তাঁর বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ করা হয়। এবং এই দুর্নীতি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য টাকারও দাবি করা হয়েছিল। অজ্ঞাত পরিচয়ের ওই ফোন কলে অপরপ্রান্ত থেকে বলা হয়েছিল যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতর থেকে ফোন করা হয়েছে। এই ঘটনায় তদন্ত শুরু হলে জানা যায় তিন যুবক তোলাবাজির ছক কষেছে। আর তারপরেই কলকাতা পুলিশ তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছিল। এবার এই ঘটনায় নাম জড়াল কোচবিহারের বিজেপি বিধায়ক নিখিল রঞ্জন দে-র (Nikhil Ranjan Dey)।

জানা যাচ্ছে, অভিযুক্ত জুনেদুল হক চৌধুরি, শুভদীপ মল্লিক ও শেখ তসলিমকে কলকাতার এমএলএ হস্টেল থেকে পাকড়াও করা হয়ছিল। তবে হঠাৎ করে এমএলএ হস্টেলে তাঁরা কীভাবে উঠেছিল এই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। এমনকী বিধানসভা স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ও রিপোর্ট তলব করেছিলেন। আর সেই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়াল বঙ্গ রাজনীতিতে।

কারণ দেখা যাচ্ছে বিজেপি বিধায়ক নিখিল রঞ্জনের নামেই বুক করে ছিল। আর তারপরেই শনিবার বিজেপি বিধায়ককে শেক্সপিয়ার সরণী থানা থেকে তলব করা হয়। আগামী ৩ দিনের মধ্যে তাঁকে আসতে হবে বলে জানা গিয়েছে।