সোমবার রাতে যখন লালবাজার অভিযানে (Lalbazar Abhijan) একজোট জুনিয়র চিকিৎসকরা, কলকাতা পুলিশ কমিশনারের পদ থেকে বিনীত গোয়েলের (CP Kolkata Vineet Goyal) পদত্যাগের দাবিতে অনড় আন্দোলনকারীরা, যখন লালবাজারের সামনেই রাত জেগে অবস্থান বিক্ষোভের প্রস্তুতি চলছে, ঠিক তখনই খবর আসে, আরজি করে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগের মামলায় সিবিআই (CBI) গ্রেফতার করেছে হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে (Sandip Ghosh)। ক্ষুব্ধ চিকিৎসককের কাছে এই খবর যেন শীতল হাওয়ার মত ছিল। সন্দীপ ঘোষের গ্রেফতারিতে উদ্বেল আন্দোলনকারী চিকিৎসক, সাধারণ মানুষ থেকে তারকা, শিল্পী প্রত্যেকেই। সন্দীপের গ্রেফতারিকে 'শেষের শুরু' হিসাবে বর্ণনা করলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)।
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে কর্তব্যরত মহিলা চিকিৎসক পড়ুয়ার ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার পর থেকে রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদের ঢেউ উঠেছে। সময় যত পেরিয়েছে প্রতিবাদের আগুন তত জোরালো হয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই আরজি কর হাসপাতালে আর্থিক অনিময়ের অভিযোগ সামনে আসে। অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের (Sandip Ghosh) বিরুদ্ধে উঠতে থাকে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ। সরকারি তহবিলের নয়ছয়, টেন্ডার দেওয়ার ক্ষেত্রে স্বজনপোষণ, মেডিক্যাল বর্জ্য বিক্রি সহ একাধিক অভিযোগ।
টানা ১৬ দিন সন্দীপকে সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদের পর শেষমেশ সোমবার তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই। এদিন সকাল সকাল সিজিও কমপ্লেসে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে হাজিরা দিয়েছিলেন প্রাক্তন অধ্যক্ষ। সন্ধ্যায় তাঁকে সিজিও থেকে বের করে সিবিআই আধিকারিকরা নিয়ে আসেন নিজাম প্যালেসে। আর তার কিছুক্ষণের মধ্যেই খবর আসে, আরজি করে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে সিবিআই গ্রেফতার করেছে সন্দীপকে। তাঁর পলিগ্রাফ পরীক্ষাও করানো হয়েছিল।