হাসপাতালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Photo Credits: Abhishek Banerjee Twitter)

কলকাতা, ১২ মার্চ: শারীরিক অবস্থার অবনতি না হলেও এখনই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাচ্ছেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তাঁর বাঁ পায়ের চোট চিকিৎসকদের ভাবাচ্ছে। পায়ের হাড়ে চিড় ধরায় সেখানে প্লাস্টার করা হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থা পর্যালোচনা করে আজ বৈঠক হবে। শুক্রবার বেলা এগারোটায় বৈঠকে বসবেন তাঁর চিকিৎসায় গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্যরা। এই বোর্ডে রয়েছেন এসএসকেএমের অধ্যক্ষ মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়াও তিন বিভাগীয় প্রাধান পাঁচ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। নিউরো সার্জারি, নিউরো মেডিসিন, জেবারেল মেডিসিন, জেনারেলসার্জারি, অর্থোপেডিক, অ্যানাস্থেসিয়া বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, এন্ডোক্রিনোলজি, কার্ডিওলজি। গতকাল এক ভিডিও বার্তায় নিজের শারীরিক পরিস্থিতির কথা রাজ্যবাসীকে জানান মুখ্যমন্ত্রী। দুএক দিনের মধ্যে সুস্থ না হলেও ম্যানেজ করে নেবেন তিনি।

মিটিং নষ্ট করতে রাজি নন। প্রয়োজনে হুইল চেয়ারের সাহায্যে প্রচারে বেরোবেন। তবে এজন্য জনগণের সহযোগিতা চেয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। বুধবার সন্ধ্যায় নন্দীগ্রামের বিরুলিয়া বাজারে পড়ে গিয়ে বাঁ পায়ের গোড়ালিতে চোট পেয়েছেন। ডান কাঁধেও রয়েছে আঘাত। দুর্ঘটনার পর বুকে ব্যথা অনুভব করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর শ্বাসকষ্টও শুরু হয়ে যায়। এখন তৃণমূলনেত্রীর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। দুর্ঘটনার পর তিনি অভিযোগ করেছিলেন, ভিড়ের মধ্যে পাঁচজন তাঁকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়েছে। তড়িঘড়ি মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রিন করিডর করে এসএসকেএম হাসপাতেল নিয়ে আসা হয়। সিটি স্ক্যান, এক্সরে, ইসিজি এবং ওই রাতেই বাঙুর নিউরো সায়েন্সেসে নিয়ে গিয়ে এমআরআই করানো হয়। তারপর থেকে এসএসকেএমের উডবার্ন ওয়ার্ডের সারে বারো নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন তিনি। আরও পড়ুন-WB Assembly Elections 2021: এবার জামুড়িয়ায় সিপিএম প্রার্থী জেএনইউ-র ছাত্র আন্দোলনের নেত্রী ঐশী ঘোষ, টুইটে জানালেন সেকথা

ওই রাতেই তাঁকে দেখতে এসে তৃণমূলের কর্মী সমর্থকদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তাঁকে গো ব্যাক স্লোগান শুনতে হয়। গতকাল বিজেপির শমীক ভট্টাচার্যও মমতাকে হাসপাতালে দেখতে এসে তৃণমূলের কর্মী সমর্থকদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন। বিমানবসুও মমতাকে দেখতে এসএসকেএমে যান। গোটা ঘটনায় হতাশা উগরে দিয়েছেন তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম, সৌগত রায়। মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, হামলার আশঙ্কা ছিল, এবার তা সত্যি হল। কমিশনে এই মর্মে তৃণমূলের তরফে নালিশও জানানো হয়েছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তো বিজেপির বিরুদ্ধে সরাসরি হুঙ্কার ছুঁড়েছেন।