বারুইপুর, ১৭ ডিসেম্বরঃ ফের রক্তাক্ত দক্ষিণ ২৪ পরগণার (South 24 Parganas) বারুইপুর (Baruipur)। বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছে। খেলার মাঠ থেকে উদ্ধার হয়েছে রক্তাক্ত দেহ। ঘটনা ঘিরে রবিবার সকাল থেকে বারুইপুরের মদারাট পঞ্চায়েতের বলবন এলাকায় ছড়িয়েছে উত্তেজনা। ওই ব্যক্তির খুনে চড়েছে রাজনীতির রং। জানা যাচ্ছে, পেশায় গাড়ি চালক সইদুল আলি শেখ তৃণমূল কর্মী ছিলেন।
লোকসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে ততই যেন রাজ্য রাজনীতি হিংস্র চেহারা নিচ্ছে। বারুইপুরের (Baruipur) সইদুল শেখ খুনে অভিযোগের তির যাচ্ছে বিজেপি এবং সিপিএমের দিকেই। তবে খুনের পিছনে আদেও রাজনৈতিক কারণ নাকি ব্যক্তিগত শত্রুতা রয়েছে তার তদন্ত করছে বারুইপুর থানার পুলিশ। ইতিমধ্যেই ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে খবর, মদারাট পঞ্চায়েতের বলবন এলাকার বাসিন্দা সইদুলকে শনিবার রাতে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় কয়েকজন যুবক। কাছের একটি খেলার মাঠে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয় বলে অভিযোগ। গুরুতর আহত অবস্থায় সইদুলকে বারুইপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেই রাতেই মারা যান তিনি। খবর ছড়িয়ে পড়তেই ক্ষোভে ফেটে পরেন স্থানীয়রা। রবিবার সকালে ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে বারুইপুর থানার পুলিশ।
তবে সইদুল খুনের কারণ দিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। স্থানীয়া জানাচ্ছেন, জমিজমা নিয়ে এলাকার কয়েকজনের সঙ্গে অশান্তি চলছিল তৃণমূল কর্মীর (TMC Worker)। প্রতিশোধ নিতে তারাই দলবল নিয়ে খুন করেছে তাঁকে। অন্যদিকে স্থানীয় তৃণমূল নেতারা দাবি করছেন, এলাকায় তৃণমূলের সংগঠন তৈরিতে সইদুলের বড় ভূমিকা ছিল। পঞ্চায়েত ভোটেও সক্রিয় ভাবে শাসকদলের হয়ে কাজ করেছেন তিনি। সেই রাগেই বিজেপি এবং সিপিএম হাত মিলিয়ে তাঁকে খুন করেছে। যদিও শাসকদলের অভিযোগ একেবারেই উড়িয়ে দিয়েছে বিরোধীরা।