কলকাতা, ১ অগাস্ট: গ্রেফতার করা হল বাংলাদেশের (Bangladeshi Model) )মডেল, ব্লগার (Vlogger) শান্তা পালকে (Shanta Pal )। ভারতীয় (India) রেশন কার্ড, আধার কার্ডের মত নথি জাল করার অভিযোগ উঠেছে শান্তা পালের বিরুদ্ধে। ভারতীয় নথি জাল করে, নিজেকে ভারতীয় বলে দাবি করে একাধিক রাজ্যে ঘুরে বেড়াতে শুরু করেন এই শান্তা পাল। যা শেষ পর্যন্ত পুলিশের চোখে পড়লে বাংলাদেশের ওই মডেলকে গ্রেফতার করা হয়।
মডেল এবং এয়ারলাইন কর্মী
বাংলাদেশের রিজেন্ট এয়ারওয়েজ়ে কর্মরত ছিলেন শান্তা পাল। বাংলাদেশে কিছুদিন মডেল হিসেবেও কাজ করেন তিনি। কয়েক মাস আগে বৈধ ভিসা দেখিয়ে শান্ত পাল ভারতে প্রবেশ করেন। ভারতে আসার পর পার্ক স্ট্রিট এলাকার একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করেন তিনি। পার্ক স্ট্রিট থেকে দক্ষিণ কলকাতার বিক্রমগড় এলাকার একটি ভাড়া বাড়িতে তিনি চলে যান। সেখানে গিয়ে আধার কার্ড, রেশন কার্ডের জন্য এক এজেন্টের সঙ্গে শান্তা যোগাযোগ করেন বলে জানা যায়। ভোটার আইডি কার্ডের জন্যও শান্তা আবেদন করেন বলে খবর। সবকিছু তিনি হাতেও পেয়ে যান
ভারতীয় বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) বাঙালি হিসেবে থাকা শুরু করেন শান্তা। পাশাপাশি শান্তা পাল নিজেকে স্থানীয় বলে দাবি করতেন। তাঁর একটি কার্ডের ঠিকানা হিসেবে পূর্ব বর্ধমান ব্যবহার করা হয়। অন্য কার্ডে ছিল কলকাতার ঠিকানা।
ফুড ভ্লগার হিসেবে কাজ
এসবের মাঝে ফুড ভ্লগার হিসেবে শান্তা পাল কাজ শুরু করেন। ফেসবুক লাইভ থেকে ইনস্টাগ্রামে, তাঁর পোস্ট, লাইভ সব রমরম করে চলতে শুরু করে। শান্তা পালের শেষ পোস্ট গত ২৮ জুলাই। যে সমস্ত পোস্ট শান্তা করতেন, তা নিজেকে কলকাতার মেয়ে হিসেবে প্রমাণের জন্য। পিটিআই সূত্রে এমন খবর আসছে।
বিদেশ সফরের পরিকল্পনা ছিল
শান্তা বিদেশ সফরের পরিকল্পনা করেছিলেন। তবে ভারতীয় হিসেবে। বাংলাদেশি নয়, ভারতীয় নথি ব্যবহার করে যাতে বিদেশে যাওয়া যায়, সেই পরিকল্পনা করছিলেন শান্তা। নিজেকে ভারতীয় প্রমাণ করে বিদেশে ঘোরার মরিয়া পরিকল্পনা করে শান্তা। যা শেষ পর্যন্ত ধরে ফেলে পুলিশ।
সেই সঙ্গে শান্তাকে কে সাহায্য করে, তার খোঁজও পুলিশ শুরু করে। অবশেষে এক ব্যক্তিকে পুলিশ পাকড়াও করে যে বাংলাদেশের ওই ফুড ভ্লগারের জাল নথি সংগ্রহে সাহায্য করে বলে খবর।