কলকাতা, ১৬ এপ্রিল: তৃণমূলের টিকিটে প্রথমবার দাঁড়িয়েই জিতলেন বাবুল সুপ্রিয়। এই প্রথম বঙ্গ বিধানসভায় দেখা যাবে বাবুলকে। যে বাবুলের রাজনৈতিক জীবন শুরু বিজেপি সাংসদ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসেবে। খুব সম্ভবত এবার তাঁকে মমতার মন্ত্রিসভায় দেখা যাবে। সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে খালি হয়েছিল বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র। আর তাই প্রয়োজন হয়েছিল উপনির্বাচনের। উপর্নিবাচনে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে প্রার্থী হয়ে বাবুল জিতলেন ২০ হাজার ৩৮ ভোটের ব্যবধানে। বাবুলের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাম প্রার্থী তথা নাসিরুদ্দিন শাহ-এর ভাইজি সায়রা শাহ আলম কড়া চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন। যেখানে বালিগঞ্জ গত বছর বিধানসভা নির্বাচনে সুব্রত মুখোপাধ্যায় জিতেছিলেন ৭৫ হাজার ৩৩৯ ভোটে। সেই হিসেবে দেখলে বাবুলের মার্জিন কমেছে প্রায় ৫৫ হাজার। উপনির্বাচন হওয়ায় ভোট অনেকটা কম পড়লেও, সেটা এতটা মার্জিন কমার কথা নয়।
গত বছর বালিগঞ্জে তৃণমূল পেয়েছিল ৭০.৬% ভোট। সেখানে বালিগঞ্জে এক বছরের মধ্যে রাজ্যের শাসক দলের ভোট নেমে এল ৪৯.৬%-এ। বামেদের ভোট সেখানে বাড়ল ৫% থেকে ৩০%। তিনে থাকা বিজেপি প্রার্থী কেয়া ঘোষের চেয়ে ১৭ হাজার ৮৫১টি ভোট বেশি পেলেন সিপিএমের সায়রা শাহ আলম।
যেখানে ক মাসে আগেই বালিগঞ্জ বিধানসভার সব কটি ওয়ার্ডে বড় ব্যবধানে জেতে তৃণমূল। সেখানে এবার বালিগঞ্জের চারটি ওয়ার্ডে তৃণমূলের ভোটব্যাঙ্কে বড় ধস নামান সায়রা। সংখ্যালঘু অধ্যুষিত ওয়ার্ডগুলিতে বাম ভোটে জোয়ার আসে। ফলে বালিগঞ্জে তৃণমূলের ভোট কমেছে ২২ শতাংশ। তৃণমূলের নিশ্চিত ভোটের একটা অংশ জমা পড়েছে সিপিএমে, পাশপাশি বিজেপি-র ভোটও গিয়েছে সায়রার পক্ষে। আরও পড়ুন: জয়ের পর কী বললেন বাবুল
তবে বালিগঞ্জে দলের জয়ের ব্যবধান কমলেও তৃণমূলের কাছে ভাল খবর, বিজেপি এখানে তিনে চলে গিয়েছে। অন্যদিকে, বামফ্রন্টের কাছে দারুণ খবর মাত্র এক বছরের মধ্যেই বালিগঞ্জে ৩১ শতাংশ ভোট বৃদ্ধি। সায়রা আলমকে প্রার্থী করে বালিগঞ্জে ৩৬ শতাংশ ভোট পেল সিপিএম। যেখানে বাবুল পেলেন ৪৮ শতাংশ ভোট। একটা সময় চতুর্থ স্থান থেকে তিনে শেষ করা বিজেপি-কে কার্যত খুঁজে পাওয়া গেল না।