ছবি ইনস্টাগ্রাম

সম্প্রতি মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দিয়েছেন কারামন্ত্রী অখিল গিরি। অন্যদিকে একাধিক তৃণমূল বিধায়ক লোকসভা নির্বাচনে জিতে সাংসদ হয়ে গিয়েছেন। ফলে তাঁদের দায়িত্বপ্রাপ্ত দফতরগুলি যাঁরা সামলাবেন তাঁদের একটি তালিকা রাজভবনে পাঠিয়েছিল রাজ্য সরকার।বুধবার সেই তালিকায় সই করে সম্মতি জানালেন রাজ্যপাল। যদি এই রদবদলের প্রস্তাবের ফাইল গত ১০ জুলাই রাজভবনে পাঠিয়েছিল নবান্ন। কিন্তু এতদিন তাতে সই করছিলেন না রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। অবশেষে বুধবার সেই ফাইলে সই করলেন তিনি। মন্ত্রিসভায় রদবদলের পর বাবুল সুপ্রিয় তথ্য প্রযুক্তি দফতরের পাশাপাশি পাবলিক এন্টারপ্রাইজ এবং শিল্প পুনর্গঠন বিভাগের দায়িত্ব দেওয়া হল।

অন্যদিকে অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকেও দেওয়া হল অতিরিক্ত দায়িত্ব। তিনি এবার থেকে পরিবেশ দফতরও সামলাবেন বলে জানা গিয়েছে। পরিবেশ মন্ত্রকের দায়িত্বে থাকা গুলাম রাব্বানিকে দেওয়া হল অপ্রচলিত শক্তি দফতর। অন্যদিকে মানস ভুঁইয়াকে দেওয়া হল সেচ দফতর। এই দফতরে অতীতে মন্ত্রী ছিলেন পার্থ ভৌমিক। তিনি বারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিংকে হারিয়ে সাংসদ হয়েছেন। ফলে এই দফতরের মন্ত্রী হলেন মানস।

যদিও কারামন্ত্রক অখিল গিরির পর এবার সামলাবেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আসলে রাজভবনে তালিকা পাঠানোর পরেই মন্ত্রীত্ব থেকে ইস্তফা দিয়েছেন অখিল গিরি। যার ফলে ওই দফতরে অন্য কাউকে দায়িত্ব দেওয়া যায়নি। সেই কারণে আপাতত রাজ্যের মুখমন্ত্রীর দায়িত্বে রয়েছে ওই দফতর। প্রসঙ্গত, এক মহিলা আধিকারিকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করার অভিযোগে অথিল গিরিকে মন্ত্রীত্ব থেকে সরে দাড়ানোর নির্দেশ দেয় রাজ্যের শাসক দল।