শেষমেশ বোলপুর এসডিপিও অফিসে হাজিরা দিলেন তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। সপ্তাহখানেক আগেই বোলপুরের আইসিকে ফোন হুমকি এবং গালিগালাজ করেছিলেন বীরভূমের কেষ্ট। সেই অডিয়ো ক্লিপ ভাইরাল হতেই শোড়গোল শুরু হয় রাজ্য রাজনীতিতে। অনুব্রতর গ্রেফতারির দাবি করেন বিরোধীরা। এরমধ্যেই তাঁর বিরুদ্ধে ২টি জামিন অযোগ্য সহ ৪টি ধারায় মামলা রুজু করা হয়। এর আগে দু’বার তাঁকে হাজিরার জন্য তলব করা হলে অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে হাজিরা এড়িয়ে যান তিনি। তবে এবার চাপে পড়ে বৃহস্পতিবার দুপুর ৩টে ৪৫ নাগাদ হাজিরা দিতে এলেন তিনি। টানা দু’ঘন্টা তাঁকে জেরা করে ছেড়ে দেওয়া হয়। বিকেলের দিকে এসডিপিও অফিস থেকে বেরিয়ে তিনি বোলপুরে তৃণমূলের পার্টি অফিসে যান।
নিরাপত্তা ছাড়াই এসিডিপিও অফিসে যান অনুব্রত মণ্ডল
এদিন কোনও কনভয়, নিরাপত্তারক্ষী ছাড়াই আইনজীবী বিপদতারণ ভট্টাচার্যকে নিয়ে এসডিপিও অফিসের পেছন গেট দিয়ে কালো রভের গাড়িতে করে ঢোকেন অনুব্রত। তাঁর আসার খবর আগে থেকে পেয়েই অফিসের প্রতিটি গেটে ছিল পুলিশি নিরাপত্তা। ফলে অনুব্রত এদিন এই বিষয়ে কোনও কথাই সাংবাদিকদের সামনে বলেননি। এই ঘটনার তদন্ত করছে বোলপুরের এসডিপিও রিকি আগারওয়াল। তিনিই এদিন তাঁর ফোনটি বাজেয়াপ্ত করেন। যদিও এর আগে আইসি লিটন হালদার, যাকে হেনস্থা করেছিলেন অনুব্রত, তাঁকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এবং তাঁরও দুটি ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়।
অনুব্রতর কুকথা মামলা জাতীয় মহিলা কমিশনের হস্তক্ষেপ
এদিকে এবার এই মামলায় এবার নজর পড়েছে জাতীয় মহিলা কমিশনের। ইতিমধ্যেই ডিজি রাজীব কুমারকে চিঠি পাঠিয়েছে কমিশন। আসলে অনুব্রত আইসি লিটন দাসের মা ও স্ত্রীকে নিয়েও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও অশালীন মন্তব্য করেছিলেন। যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক বিষয় বলে মনে করছে মহিলা কমিশন।