
মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) ওয়াকফ অশান্তির মাঝে খুন হতে হয়েছিল জাফরাবাদের হরগোবিন্দ দাস ও চন্দন দাসকে। এই ঘটনার তদন্তে নেমে আগেই তিনজনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তাঁদের জেরা করে উঠে এসেছিল সুলিতলা পূর্ব পাড়ার বাসিন্দা জিয়াউল শেখের। তারপরেই শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। অবশেষে শনিবার রাতে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া থেকে গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে। জাফরাবাদের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ছিলেন এই জিয়াউল। অভিযুক্তকে হেফাজতে নেওয়ার পর এই ঘটনার আরও কেউ জড়িত রয়েছে কিনা, সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখবে পুলিশ।
উত্তর দিনাজপুর থেকে গ্রেফতার অভিযুক্ত
জানা যাচ্ছে, ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিল অভিযুক্ত। এদিকে মুর্শিদাবাদ পুলিশ এই ঘটনার পর সিট গঠন করেছিল। তদন্তকারী দলের তল্লাশি অভিযানের পর শনিবার চোপড়া থেকে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। জিয়াউলের গ্রেফতারির খবর নিশ্চিত করেছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। বাবা ও ছেলে খুনের ঘটনা প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিল জিয়াউল। এমনকী তিনি সন্ত্রাস চালানোর অন্যতম মাস্টারমাইন্ড ছিল বলে জানা যাচ্ছে।
হরগোবিন্দ ও চন্দনের পরিবারের সঙ্গে দেখা করল তৃণমূলের প্রতিনিধি দল
এদিকে রবিবার মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। ছিলেন জঙ্গিপুরের তৃণমূল সাংসদ খলিলুর রহমান, রাজ্যসভার সাংসদ সামিরুল ইসলাম এবং সামশেরগঞ্জের বিধায়ক আমিরুল ইসলাম। এদিন সকালে গিয়ে মৃতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। এমনকী দলের তরফ থেকে পাশে থাকার বার্তাও দেওয়া হয়েছে। যদিও এর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফ থেকে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তা ফিরিয়ে দেয় হরগোবিন্দ ও চন্দনের পরিবার। এবার আবার প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে বাড়ির ছোট ছেলেমেয়েদের পড়াশুনোর খরচ বহন করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়।