কলকাতা, ২৭ মে: রাজ্যের সরকারি সমস্ত স্কুল (Government Schools) ৩০ জুন পর্যন্ত বন্ধ থাকবে বলে জানালেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। এর আগে লকডাউনের জন্য ১০ জুন পর্যন্ত স্কুল বন্ধ থাকার ঘোষণা করেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। এদিন তা বাড়িয়ে ৩০ জুন ঘোষণা করলেন তিনি। শিক্ষামন্ত্রী জানান, ঘূর্ণিঝড়় আম্ফানের তাণ্ডব ও প্রবাসী শ্রমিকদের কোয়ারান্টিন করে রাখার জন্যই স্কুলগুলি বন্ধ রাখার সময়সীমা বাড়ানো হচ্ছে। তবে উচ্চ মাধ্যমিকের বাকি পরীক্ষাগুলি পূ্র্ব নির্ধারিত দিনেই হবে।
২৪ ঘণ্টার খবর অনুযায়ী, পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, "আম্ফানে কয়েক হাজার স্কুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কোথাও মিড-ডে মিলের জায়গা, কোথাও ছাদ ক্ষতিগ্রস্ত। এরসঙ্গে প্রবাসী শ্রমিকদের এখন স্কুলে কোয়ারান্টিন করে রাখার কাজ চলছে। এই পরিস্থিতিতে বিদ্যালয় ৩০ জুন পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।" তবে সরকারি স্কুল ৩০ জুন পর্যন্ত বন্ধ থাকার কথা ঘোষণা করলেও, বেসরকারি স্কুলগুলির ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট করে কিছু জানাননি শিক্ষামন্ত্রী। এপ্রসঙ্গে তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, "ওদের ব্যাপারে কিছু বলতে পারি না।" যদিও বেসরকারি স্কুলগুলির ফি নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর স্পষ্ট বক্তব্য, "অযথা মানসিক যন্ত্রণা তৈরি করবেন না।" আরও পডুন: Mamata Banerjee: করোনা মোকবিলায় জেলাগুলিতে টাস্ক ফোর্স গঠনের নির্দেশ, মুম্বই থেকে ৩৬ টি ট্রেন পাঠানো নিয়ে কেন্দ্রকে দুষলেন মমতা ব্যানার্জি
তবে উচ্চমাধ্যমিকের বাকি পরীক্ষাগুলো পূর্ব নির্ধারিত ২৯ জুন এবং ২ ও ৬ জুলাই হবে বলেই জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। যদিও তিনি জানান, "৪২০টি স্কুল যেগুলি উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য স্থির করা হয়েছিল, সেগুলি নষ্ট হয়ে গেছে। ৮ জেলায় ৪৬২টি পরীক্ষাকেন্দ্র বদল হয়েছে।" আরও বলেন, "উচ্চমাধ্যমিক যারা দিচ্ছে, তাদের বই নষ্ট হয়ে গেছে। সেগুলি নতুন করে দেওয়ার বিষয়ে প্রস্তাব মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠিয়েছি। ৭০০ থেকে ১০০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।"
কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালগুলি খোলা ও সেখানে পঠনপাঠন কবে শুরু হবে, সেই ব্যাপারেও কর্তৃপক্ষের কাঁধেই সিদ্ধান্ত গ্রহণের ভার চাপিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। সাংবাদিক বৈঠকে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, "কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলি তাদের নির্দিষ্ট নিয়ম অনুযায়ী কাজ করবে। ছাত্র-ছাত্রীদের পাশে আছি। কী হবে সেটা ইউনিভার্সিটি সিদ্ধান্ত নেবে।"