সিঙ্গুর, ৩১ মার্চ: নন্দীগ্রামে যেহেতু এবার আমি লড়াই করছি। আজ নন্দীগ্রাম থেকে সিঙ্গুরে এলাম। এই সিঙ্গুরও আন্দোলনের মাটি। সমস্ত শক্তি দিয়ে সিপিএম সেদিন সিঙ্গুর দখল করার চেষ্টা করেছিল। মাস্টারমশাই কীকরে বিজেপির হয়ে দাঁড়ান, আমি ভেবে পাই না। আগামী ৫ বছরের জন্য বেচারাম মান্নাকে এখানে কাজ করতে দিন। সিঙ্গুরের জন্য আমি ২৬দিন আন্দোলন করেছি। আমি চেয়েছিলাম সিঙ্গুরে দাঁড়াতে। সিঙ্গুরও আমার আন্দোলনের জায়গা। কিন্তু মাস্টারমশাই জায়গা ছাড়বেন না, বেচারাম আমাকে জানিয়েছিল। তাই সরে দাঁড়াই। সিঙ্গুরে জমি আন্দোলনকে জয়ী করেছিলাম। কালা কৃষি আইন রোধ করতে সরকার বাধ্য হয়েছিল। সিঙ্গুর থেকে কৃষক আন্দোলন শুরু। আরও পড়ুন-WB Assembly Elections2021: ‘ নন্দীগ্রামে খেলা শেষ, মমতা দিদি ভয় পেয়েছেন’; জেপি নাড্ডা
সিঙ্গুরে আমরা কথা রেখেছি। অনিচ্ছুক কৃষকদের জমি ফিরেয়ে দিয়েছি। সিঙ্গুরে ক্ষুদ্রশিল্প হবে ১১ একর সরকারি জমিতে। সিঙ্গুরের জমি আন্দোলন আমরা পাঠ্যপুস্তকে রেখেছি। সিঙ্গুর আন্দোলনকে কেন্দ্র করে আমি সন্তোষি মাতার ব্রত করি। সেখানে সন্তোষি মাতার মন্দির করেছি। মাস্টারমশাই বাড়িতে থেকে সম্মান বাঁচান। আপনি ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন। বেচা অনেকদিন আপনার সঙ্গে কাজ করেছে। বেচাকে জেতার জন্য আশীর্বাদ করুন। আগামী দিন সিঙ্গুরে ভাল শিল্পাঞ্চল গড়ে উঠবে। আগে আমরা কৃষিমূলক ইন্ডাস্ট্রি করব। তারপর অন্য ইন্ডাস্ট্রি হবে। জঙ্গলমহল শিল্পসুন্দরী প্রোগ্রাম তৈরি হবে। সিঙ্গুরের সঙ্গে জুড়বে সেই প্রোগ্রাম। কোনও কৃষিজমিতে খাজনা লাগে না। শষ্যবীমার জন্য কৃষক কোনও টাকা সরকারকে দেয় না। সাড়ে তিনলক্ষ পুকুর কেটেছি।
রেশন বিনা পয়সায় পাচ্ছেন। আসছে বছর থেকে রেশন আপনার বাড়িতে পৌঁছে যাবে। মহিলারা ৫০০ থেকে হাজার টাকা হাত খরচ পাবেন। আমাদের সরকার জিতলে কৃষকরা ১০ হাজার টাকা পাবেন। খেত মজুররা পাবেন ৫ হাজার টাকা। ছাত্রছাত্রীদের জন্য ১০ লক্ষ টাকার ক্রেডিট কার্ড দেবে সরকার। জামিনদার আমাদের সরকার হবে। তারকেশ্বরে সবুজ বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে। ইংরেজি মিডিয়াম স্কুল ব্লকে ব্লকে করে দবে। বছরে ৫ লক্ষ ছেলেমেয়েকে চাকরি দেব। নরেন্দ্র মোদির রাজত্বে দেশে ২ কোটি বেকার বেড়েছে।আমরা ৪০ শতাংশ বেকার কমিয়েছি। আদানি, অমিত শাহ, নরেন্দ্র মোদি আপনার জমির ফসল কেড়ে নিয়ে চলে যাবে। কৃষক বিরোধী বিজেপিকে একটি ভোটও দেবেন না। কোটি কোটি টাকা নিয়ে প্রত্যেকটা হোটেলে বসে আছে বিজেপির নেতারা। দিল্লির পুলিশ, বিহারের গুন্ডাদের নিয়ে ভোট হবে। ওড়িশা থেকে চারশো পাঁচশো জনকে নন্দীগ্রামে এনে রেখেছে। মাস্টার মশাই ৯২ বছর বয়স তাঁকে কিনা এই গরমে ভোটে লড়িয়ে দিয়েছে।
বিজেপি বাংলা জয় করবে, কাকে নিয়ে জয় করবে বেইমান, গদ্দারদের নিয়ে? ধার চাহিয়া আর বাংলাকে লজ্জা দেবেন না। মা বোনেদের পা দিয়ে এই নির্বাচনটা লড়ে যাব। যতদিন থাকবে শ্বাস ততদিন থাকে যেন আপনাদের বিশ্বাস। বেচারা লকেট ছিল সাংসদ তাঁকে নির্বাচনে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। ছিল বাঘ হয়ে গেল বিড়াল এবার ইঁদুর হবে। ২৯১-এর মধ্যে ২২৫টি সিটে তো আমাকে জিততে হবে। গদ্দারদের থেকে বাঁচানোর জন্য তৃণমূলকে বেশি ভোটে জেতাতে হবে। বড় গরম জিতবে কিন্তু তৃণমূল। দস্যুদানব বিজেপি তোমাকে আমরা চাই না।