অনুব্রত মণ্ডল(Photo Credit: Facebook)

বোলপুর, ১০ মার্চ: আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন উপলক্ষে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পরে পরেই বিভিন্ন জেলার সংগঠনে ফাটল ধরেছে। কোথাও কাজ করতে না পেরে দলত্যাগ করছেন কো-অর্ডিনেটররা। কোথাও আবার প্রার্থী পছন্দ না হওয়ায় দলে দলে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে য়োগ দেওয়ার ঢল নেমেছে। মালদা, পাঁশকুড়া, পানিহাটি এ যাত্রায় এগিয়ে রয়েছে। এবার প্রার্থী পছন্দ না হওয়ায় জেলা সভাপতির  অনুব্রত মন্ডলের (Anubrata Mondal) কাছে দরবার শুরু করেছেন তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা। এমনকী অপছন্দের প্রার্থীর হয়ে দেওয়াল লিখনেও নারাজ কর্মীরা। বিষয়টি নিয়ে বেজায় বিপাকে বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভারতি অনুব্রত মন্ডল। ইতিমধ্যেই বিষয়টি তিনি রাজ্য নেতৃত্বকে জানিয়েছেন। প্রার্তী নিয়ে দলের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে যে অসন্তোষ ছড়িয়েছে, তার খবর গেছে দিদির কানেও। আরও পড়ুন-WB Assembly Elections ২০২১: ‘দড়ি ধরে মারো টান রানি হবে খান খান’, নন্দীগ্রামে নাম না করেই মমতাকে আক্রমণ শুভেন্দুর

সমস্যার সূত্রপাত নলহাটি এবং দুবরাজপুরে। এই জেলার ১১টি কেন্দ্রের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হয়ে যাওয়ায় জোর কদমে চলছে দেওয়াল লিখনের কাজ। শুধু দুবরাজপুর ও নলহাটিতে হাত গুটিয়ে বসে আছেন কর্মীরা। আগের নির্বাচনে দুবরাজপুরে প্রার্থী ছিলেন নরেশচন্দ্র বাউরি। এ বার সেখানে প্রার্থী হয়েছেন অস্মিতা ধীবর। অন্য দিকে, নলহাটিতে এ বার মইনউদ্দিন সামসের পরিবর্তে টিকিট দেওয়া হয়েছে রাজেন্দ্রপ্রসাদ সিংহকে। এ বার তাঁকে প্রার্থী না করায় দল ছেড়েছেন সামস। নরেশচন্দ্রর সমর্থকরাও নতুন প্রার্থীকে মানতে নারাজ। ফলে পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়েছে।

এদিকে আজই হলদিয়ার মহকুমা শাসকের দপ্তরে মনোনয়ন জমা দিলেন নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মনোনয়ন পেশের পর দলনেত্রী সাংবাদিকদের বলেন, “আজ আমি মনোনয়ন জমা দিলাম। আমার প্রস্তাবক চারজন। প্রস্তাবকের তালিকায় শহিদ পরিবারের মেয়ে। শেখ সুফিয়ান আমার নির্বাচনী এজেন্ট। আজ আমি নন্দীগ্রামে ফিরব, কাল কলকাতায় যাব। নিজের নাম ভুললেও নন্দীূগ্রাম ভুলব না। আশা করব নন্দীগ্রামের মানুষ খুশি।”