কলকাতা, ১৯ ফেব্রুয়ারি: গত ১১ ফেব্রুয়ারি বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সভা থেকে তিনি বলেছিলেন, “অত সোজা খেলা নয়। হয়ে যাক একটা খেলা। গণতন্ত্রের খেলা। রাজনীতির খেলা। ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে করবেন? একদিকে আপনারা থাকবেন। কংগ্রেস, সিপিএমকেও দিয়ে দিলাম। যগাই, মাধাই ও গদাই থাকবে একসঙ্গে। আর একা তৃণমূল। আমি কিন্তু গোলরক্ষক। খালি দেখব কটা গোল দিতে পারেন। খেলায় কে জেতে, কে হারে।” তৃণমূল নেত্রীর চ্যালেঞ্জ অ্যাকসেপ্ট করেছে গেরুয়া শিবির। তাই ২২ ফেব্রুয়ারির পরে ৭ মার্চ ব্রিগেডে দেখা যাবে প্রধানমন্ত্রীকে। ২৮ ফেব্রুয়ারিতেও নাকি বাংলা সফরে আসতে পারেন নরেন্দ্র মোদি। এরপর৭ মার্চ সোজা ব্রিগেডে সভা করবেন তিনি। আরও পড়ুন-Jakir Hossain Blasts Case: জাকির হোসেন বিস্ফোরণ কাণ্ডে IED-র ব্যবহার? ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার ব্যাটারি ও তার

রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদিই একমাত্র বিজেপির মুখ। তাঁকে সামনে রেখেই বাংলায় ভোট লড়তে চলেছে বঙ্গ বিজেপি শিবির। গেরুয়া শিবির ক্ষমতায় এলে কে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হবেন, তানিয়ে মুখে এখনও কুলুপ এঁটেই রেখেছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। তবে ভোটে জিততে বৈতরণীর ভূমিকায় সেই নরেন্দ্র মোদি। ২০১৪-র লোকসভা নির্বাচন থেকে শুরু করে ১৯-এর দ্বিতীয় মোদি সরকার। সবেতেই বাংলায় নিজের গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে ভোটের আগেভাগে বার বার রাজ্য সফর করেছেন নরেন্দ্র মোদি। আর এবার তো বাংলা দখলের বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সম্মুখ সমরে নেমেছেন। মানসম্মানের ব্যাপার। এবার তো জিততেই হবে। দেশের প্রায় অধিকাংশ রাজ্যে গেরুয়া ঝড় বাংলাই বা বাদ যায় কেন।

তাই তো সরকারিভাবে ব্রিগেডে মেগা সভা করবেন নরেন্দ্র মোদি। আগামী ৭ মার্চ হবে সেই সভা। তার আগে বাম কংগ্রেস জোটের ব্রিগেড হতে চলেছে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি। এদিকে শোনা যাচ্ছে মোদির ২৮ ফেব্রুয়ারির রাজ্য সফরের পরে হয়তো ভটো ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন। তারপরে কীকরে ব্রিগেডে বিজেপির মেগা সবা হয় তানিয়েই তৈরি হয়েছে ধন্দ। অন্যদিকে আজ বিশ্বভারতী সমাবর্তনে ভার্চুয়াল বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী। গতকাল এক টুইট বার্তায় নিজেই একথা জানিয়েছেন।