বোলপুর, ২৪ জুন: গত ২ মে বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির ভরাডুবির পর একে একে দলে ফিরছেন তৃণমূলে ছেড়ে যাওয়া কর্মীরা৷ পোড় খাওয়া রাজনীতিকরাও যে এই তালিকায় রয়েছেন তার বড় প্রমাণ হল মুকুল রায়ের তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন৷ বলা বাহুল্য রায়সাহেবের ঘরে ফেরার পর থকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের বিজেপি কর্মীরা দলে দলে দলত্যাগ করছে৷ কিছুদিন আগে রামপুরহাটের একদল বিজেপি কর্মী রীতিমতো প্রায়শ্চিত্য করে তৃণমূলে ফেরে৷ এরা গত বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিল৷ তৃণমূলে ফিরতে চেয়ে গোটা এলাকা টোটো নিয়ে ঘুরে তাদের বলতে হয়েছে৷ বিজেপিতে গিয়ে পাপ করেছেন৷ তাই প্রায়শ্চিত্য করে তৃণমূলে ফিরতে চান৷ এবার কেষ্টবাবুর গড়েও তেমনটা ঘটল৷ আরও পড়ুন- RIP Sivan: হৃদরোগে প্রয়াত জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত চলচ্চিত্রগ্রাহক শিবন
রামপুরহাটে গঙ্গাজল ছিটিয়ে বিজেপিতে যাওয়া কর্মীদের পাপমুক্ত করা হয়েছিল৷ আর বৃহস্পতিবার ইলামবাজারের দেবীপুরে তৃণমূলের তরফে রীতিমতো প্যান্ডাল বেঁধে মঞ্চের উপরে ভাইরাসমুক্তির আয়োজন করা হল৷ তৃণূলের ফেরার আগে ১৫০ জন দলত্যাগী বিজেপি কর্মীর গায়ে স্যানিটাইজার স্প্রে করা হয মঞ্চেই ছিল স্প্রের ব্যবস্থা৷ তারপর তাদের একে একে তৃণমূলে ফেরানো হয়৷ দলে ফিরে সেই কর্মীরা বলেন, বিজেপি ভাইরাস স্যানিটাইজেশনের মাধ্যমে সেই ভাইরাস থেকে মুক্তিলাভ ঘটায় তারা তৃণমূলে ফিরতে পারলেন৷ স্থানীয় তৃণমূল নেতা দুলাল রায়ের তদারকিতে এই দলবদল পর্বটি সম্পন্ন হয়৷ কয়েকদিন আগে হুগলীতে একইভাবে গঙ্গাস্নানের মাধ্যমে পাপ ধুয়ে তৃণমূলে ফিরেছেন ভোটের আগে বিজেপিতে চলে যাওয়া একদল কর্মী সমর্থক৷
অন্যদিকে ইলামবাজারের ঘটনায় তৃণমূলের উপরে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন বোলপুরের বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ৷ তিনি বলেন, এই সবের নেপথ্যে রয়েছে তৃণমূলের অমানসিক অত্যাচার৷ তা থেকে বাঁচতেই কর্মীরা দলত্যাগ করে জোড়াফুল শিবিরে যোগ দিচ্ছে৷ এদিনের দলবদল পর্ব নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি অনুব্রত মন্ডল৷